মুম্বই:  কপিল শর্মা-র ছবি 'জুইগাটো' দেখে এসে টুইটে প্রশংসায় পঞ্চমুখ শেহনাজ (Shehnaaz Gill)। এই ছবিতে ডেলিভারি বয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কপিল শর্মা (Kapil Sharma)। প্রায় ৫ বছর পর ফের রুপোলি পর্দায় ফিরলেন কমেডিয়ান।   জুইগাটো ছবিতে ডেলিভারি বয়দের জীবন যুদ্ধ তুলে ধরেছেন বাঙালি পরিচালক নন্দিতা দাশ (Nandita Das)।


শেহনাজ টুইট করে বললেন, ভারতের অন্যতম কমেডিয়ানের নতুন দিক আজ দেখলাম। কী দারুণ পারফরমেন্স ! সিনেমার প্রতিটি মিনিট ভালবেসে ফেলেছি। দারুন কাস্ট, ছবি গল্প অসাধারণ। খুব সুন্দর পরিচালনা, অবশ্যই দেখবেন 'জুইগাটো'। প্রসঙ্গত, দেখতে দেখতে বছর ৫ পার হয়ে গিয়েছে, নন্দিতা দাশের 'জুইগাটো' ছবি দিয়েই ফের রুপোলি পর্দায় ফিরলেন কপিল শর্মা। কপিলের বিপরীতে এই ছবিতে থাকছে শাহানা গোস্বামী। ইতিমধ্যেই এই ছবির ট্রেলর এসেছে প্রকাশ্যে। যেখানে দেখা গিয়েছে, একটি কোম্পানিতে ফ্লোর ইনচার্জের ডিউটি হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে খাবার ডেলিভারির কাজ বেছে নেয় কপিল শর্মা।






যেখানে ঘড়ির কাটার সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে তার যুদ্ধ। সময়ে গ্রাহকের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাঁকে তাড়া করে নিয়ে বেরোয়। তবে রয়েছে কিছু সুযোগ। সেলফি তুললে সেখানে মিলবে বাড়তি ১০ টাকা। যার জেরে ভালো রেটিং পাওয়া নিয়ে সবসময়ই ছবি ব্যস্ত ডেলিভারি বয়ের চরিত্রে কপিল শর্মা। নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের প্রতিদিনের লড়াই, দেখতে পাওয়া গিয়েছিল ট্রেলরে। তবে অসহায়তার মুখোমুখি হয়েছে বলেই যে শ্রমিক হওয়া, এমন একটি মেসেজ ছবিতে 'মজবুর তাই মজদুর' বলে দেখানো হয়।


যদিও এই ধরণের কাজ যেচে কেউ কি করে কিনা, তা নিয়ে বিশেষ বার্তা কোনও সমীক্ষায় উঠে না এলেও, ভারতীয় একাধিক ফুড ডেলিভারি সংস্থা তাঁদের স্মার্ট বিপণনে ইউটিউবে ভিডিও ছেড়ে রেখেছে। যেখানে বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারী কর্মীদেরই একটি জীবন যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। জীবনের বিপদজ্জনক পরিস্থিতি বা পরিবারের আর্থিক ক্রাইসিসেই অনেকে বাধ্য হয়ে এই সংগ্রাম বেছে নিয়েছে। এবং এর মধ্যে মহিলা ফুড ডেলিভারিদেরও জীবন সংগ্রামের দৃশ্য চোখে পড়ে প্রোমো ভিডিওগুলিতে।


আরও পড়ুন, 'গদর ২'-র শ্যুটিং শেষ, ৭১ এর আরও পিছনে হেঁটে গেলেন সানি ও আমিশা


'জুইগাটো' ছবিতে বেশ চড়াই উতরাই এর দৃশ্য রয়েছে ট্রেলরে। যেখানে দেখানো হয়েছে, একদিন আচমকাই ডেলিভারি বয়ের রেটিং নেমে গিয়েছে। যার কারণ জানার জন্য সে ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যদিও এই ঘটনায় পাত্তা দিতে খুব একটা উৎসাহী নয় ম্যানেজমেন্ট। তাহলে এরপর কীভাবে বাঁচবে ছবিতে ডেলিভারি বয়, আর এই প্রশ্ন জিইয়ে রেখেই কপিল শর্মাকে অন্যভাবে দেখিয়েছেন নন্দিতা দাশ।