বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: আজ দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রতর বাড়ির (cook of anubrata mondal) রাঁধুনি ও লাভপুর কলেজের (Lavpur College) শিক্ষাকর্মী বিজয় রজক। বোলপুরে (bolpur) বিশাল বাড়ি রয়েছে বিজয়ের। সেই সম্পত্তির উৎস কী? সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায় ইডি। ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে বিজয় রজককে তলব করা হয়। কালই বিজয় রজককে ২০ মার্চ মধ্যে হাজিরার জন্য নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।  


কী জানা গেল?
অনুব্রতর ১১ দিনের হেফাজত চাওয়ার সময় ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ওই মেয়াদে ১২ জনকে তলব করবেন। ওই ১২ জনকে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার ভাবনাও জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রথমে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। পর দিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। কিন্তু তিনি আসেননি। বাকিদের মধ্যে কারা রয়েছেন সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল। তবে আজ ইডির সদর দফতরে দেখা যায় অনুব্রতর বাড়ির রাঁধুনি ও লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয় রজক। তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান পেয়েছে ইডি। কী ভাবে তিনি এই সম্পত্তি তৈরি করেছিলেন, গত কয়েক বছরে তাঁর আয়ের উৎস কী ছিল এসবই জানতে চাওয়া হবে বলে সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, মণীশ কোঠারি ইতিমধ্যেই তথ্য দিয়েছেন, যে অনুব্রতর বাড়ির রাঁধুনির নামেও ভুয়ো সংস্থা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বিজয় রজকের নামে কোনও সংস্থা রয়েছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। হয়তো তাঁকে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।


গ্রেফতার মণীশ...
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সমস্ত নথিপত্র নিয়ে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেন চাটার্ড অ্য়াকাউন্ট্য়ান্ট মণীশ। ইডি সূত্রে খবর, ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন মণীশ। জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। প্রশ্নের সদুত্তর দেননি। তাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। প্রথমেই মণীশকে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। একই দিনে মঙ্গলবার রামমোহন লোহিয়া হাসপতালে স্বাস্থ্য়পরীক্ষার পর, ED দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকেও। ED সূত্রে খবর, প্রথম একঘণ্টা তাঁকে একাকী এবং পরে মণীশের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  জানতে চাওয়া হয়, কী ভাবে রকেট গতিতে অনুব্রতর সম্পত্তির উত্থান?তাঁর এত সম্পত্তি হল কী ভাবে? সুকন্যা মণ্ডলের নামে কোটি কোটি টাকার যে ফিক্সড ডিপোজিট, এর উৎস কী? রাইস মিলের সম্পত্তির নেপথ্য়ে কী রহস্য়? অনুব্রত-জায়া ছবি মণ্ডলের নামে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল, সেই টাকা কোথা থেকে এসেছিল? নামে-বেনামে এতগুলো ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট, এর মাধ্য়মে কি কালো টাকা সাদা করা হত? এই ভুয়ো অ্য়াকাউন্ট খোলার ভাবনা আসলে কার মস্তিষ্কপ্রসূত? সূত্রের খবর, অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের কাছে এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। 


আরও পড়ুন:বাম আমলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ! পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা পোস্ট ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল