নয়াদিল্লি: ৬৭ বছর পূর্ণ করলেন অভিনেতা অনিল কপূর (Anil Kapoor Birthday)। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতাদের অন্যতম বলিউডের 'মিস্টার ইন্ডিয়া' (Mr India)। সাম্প্রতিককালে একটি সাক্ষাৎকারে বাবা সুরিন্দর কপূরের (Surinder Kapoor) কথা মনে করে অভিনেতা জানান, তাঁকে বাবা বলে দিয়েছিলেন যে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের স্থান করতে হলে তা নিজের চেষ্টায় করতে হবে। 


বাবার বিষয়ে কী বলেন অনিল?


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, তাঁর বাবা পরিষ্কার ছেলেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের চেষ্টায় খেটে নিজের স্থান পেতে হবে, বাড়ি থেকে কোনও ধরনের সাহায্য তিনি পাবেন না। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম দিকে সময় কেমন কেটেছে তাঁর, জানান সেই কথাও। 


২০১১ সালে প্রয়াত হন অনিল কপূরের বাবা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্মৃতির সরণি বেয়ে হারিয়ে যান তিনি ছেলেবেলায়। অনিলের কথায় তাঁর বাবা ছিলেন একজন আপাদমস্তক ভাল মানুষ। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন সৎ, ভদ্র ও চুপচাপ। সাধারণভাবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষকে যেমন উদ্ধত বলে ভাবা হয়, তেমন একেবারেই ছিলেন না অনিল কপূরের বাবা, জানান তিনি।


ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার সময় বাবা কী বলেছিলেন তাঁকে? অনিল কপূর বলেন, 'আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না', এবং সত্যিই তিনি কোনওদিন কোনওরকম সাহায্য বা সুযোগ করে দেননি ছেলেকে। অভিনেতার কথায়, এর ফলে তাঁর নিজের মধ্যে সেই চেষ্টা এসেছিল, 'এবার সময় এসেছে বাইরে বেরিয়ে, যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে নিজের নিজেরটা বুঝে নিতে হবে'। 


বাবা পেশায় প্রযোজক। কিন্তু তারকাপুত্র হওয়া সত্ত্বেও কর্মজীবনের শুরুটা খুব একটা মসৃণ ছিল না তাঁর। বলিউডে নিজের স্থান তৈরির তাগিদ থাকলেও ভাল চরিত্র বা কাজের অফার পেতে বেগ পেতে হয়েছে। তাঁর কথায়, সেই সময়টা বেশ ক্লান্তির ছিল, বিরক্তিকর এবং অবসাদগ্রস্ত হয়ে কাটত। দেখতে খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাঁকে, ভিতর থেকে ভেঙে পড়েছিলেন। প্রায়ই বন্ধুদের সঙ্গে বসে মদ্যপানে ডুব দিতেন। তিক্ত হয়ে উঠছিলেন। তবে কঠিন সময় সত্ত্বেও সেই সমস্ত আবেগকে নিজের কাজে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন, যেমন দেখা গিয়েছে, 'আওয়ারগি', 'মশাল' ছবিতে। তিনি স্বীকার করে নেন যে এই সমস্ত ছবিতে যে ক্ষোভ বা তিক্ততা পর্দায় দেখা গেছে তা তাঁর সেই সময়ের জীবনের অবস্থা থেকেই বেরিয়েছে, বিশেষত 'মশাল' ছবিতে। 


 




অনিল অভিনয় জীবনে পা রাখেন তেলুগু ছবি 'ভামসা ভ্রুক্ষম'-এর হাত ধরে, এরপর তাঁকে হিন্দি ছবি 'হামারে তুমহারে'তে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। তবে আসল পরিচিতি তিনি পান ১৯৮৩ সালের 'ও সাত দিন' ছবির হাত ধরে। সেই থেকে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে 'মিস্টার ইন্ডিয়া', 'বেটা', 'লমহে', 'নায়ক' অন্যতম।


আরও পড়ুন: Theaters: শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলার মন জিতলেন চঞ্চল-দেবশঙ্কররা, হাসি দুঃস্থ নাট্যকর্মীদের মুখে


অনিল কপূরকে শেষ দেখা গিয়েছে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত 'অ্যানিম্যাল' ছবিতে রণবীর কপূরের বাবার চরিত্রে। বক্স অফিসে দুরন্ত সাফল্য লাভ করেছে এই ছবি। এরপর তাঁকে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত 'ফাইটার' ছবিতে দেখা যাবে হৃত্বিক রোশন ও দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।