নয়াদিল্লি: অভিনয় দক্ষতায় তাঁর ধারেকাছে খুব অভিনেতাই আছেন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে (Hindi Film Industry)। তবু তাঁর মতো মাটির কাছের মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে মেলা দুষ্কর। তিনি অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী (Pankaj Tripathi)। আর মানুষের এই দাবিকে আবারও সত্য প্রমাণ করলেন অভিনেতা। নিজের গ্রামের উন্নতির জন্য তিনি ইতিমধ্যেই অনেক কিছু করেছেন। সম্প্রতি নিজের স্কুলের সংস্কারেও (School Renivation) হাত দিলেন তিনি। তাঁর শিক্ষাঙ্গন পেল ঝকঝকে লুক। 


গ্রামে নিজের স্কুলের সংস্কারের দায়িত্ব নিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী


বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার ছেলে আজকের  'কালীন ভইয়া' পঙ্কজ ত্রিপাঠী। হিন্দি ফিল্ম ও ওটিটি ইন্ডাস্ট্রির তারকা তিনি। একের পর এক দুর্দান্ত কাজ, মনে রেখে দেওয়ার মতো চরিত্র। তবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও ভোলেননি নিজের গ্রাম, নিজের শিক্ষাঙ্গনকে। 


বিহারের সরকারি স্কুলের ছাত্র পঙ্কজ। সম্প্রতি তিনি জানান যে স্কুলে তিনি নিজে পড়াশোনা করেছেন, তাকে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিনেতা বলেন, 'আমাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন "গোপালগঞ্জ গৌরব অ্যাপ" নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। একটি মিটিং করা হয় যেখানে প্রশাসনের তরফে বলা হয় যে যাঁরা জেলার মানুষ কিন্তু বাইরে থাকেন, তাঁরা যদি গ্রাম বা জেলার জন্য সমাজসেবামূলক কার্যক্রম করতে চান, প্রশাসন তাঁদের এই ব্যাপারে সবরকম সহায়তা করবে। আমি ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম এবং আমার মনে হয় যে এটা বেশ ভাল উদ্যোগ। আমি যে স্কুলে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত পড়েছি সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে মাস দুয়েক পর ফোন করেন। এখন সেই স্কুল মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আমাকে জানান যে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্কুলের কমপাউন্ড দেওয়াল তৈরি ও স্কুলের গেটের জন্য তাঁদের তহবিলের প্রয়োজন। কারণ স্কুলের বাইরেই বড় রাস্তা এং বাচ্চারা প্রায়ই দৌড়ে সেই রাস্তায় পারাপার করে।'





নিজের বড় ভাইয়ের সঙ্গে মিলে পঙ্কজ পরিকল্পনা করেন এবং এই প্রজেক্টে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এরপর স্কুলে যান। গিয়ে স্কুলের দৈন্যদশা নজরে পড়ে তাঁর। পঙ্কজের কথায়, গিয়ে দেখেন স্কুলবাড়ির বেশ কিছু জায়গায় প্লাস্টার খসে পড়েছে, রং ফিকে হয়ে গিয়েছে, এমনকী আলো পাখাও ঠিক করে কাজ করছে না। 'আমার মনে হয় এই সবকিছুই ঠিক করা প্রয়োজন। তাই আমার বাবা ও মায়ের নামে তৈরি ফাউন্ডেশন "পণ্ডিত বেনারস তিওয়ারি ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট"-এর মাধ্যমে আমরা এই স্কুলের পরিকাঠামো উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিই।' তাঁর কথায়, 'আমি একই স্কুলে পড়াশোনা করেছি এবং এই উদ্যোগের সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য হল সমস্ত শিক্ষার্থীকে স্কুলে আসতে অনুপ্রাণিত করা এবং তাদের আশেপাশে অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাদের পড়াশোনায় গভীর আগ্রহ তৈরি করা।' যে রংয়ের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর পঙ্কজ নিজে, সেই সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজ সারবেন তিনি।


আরও পড়ুন: Jamai Sasthi 2023 : শুধু জামাইয়ের মঙ্গল নয়, জামাইষষ্ঠী ব্রতপালনের পিছনে ছিল শাশুড়িদের আরও এক মনস্কামনা


প্রসঙ্গত, আপাতত তিনি স্কুল চত্বরে একটি গ্রন্থাগার তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছেন। সাহিত্যের প্রতি নিজের ভালবাসা ও পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই লাইব্রেরির উদ্যোগ অভিনেতার।