নয়াদিল্লি: তাঁর খ্যাতির তুলনা হয় না। তাঁর প্রশংসা করতে গেলে সহজে থামা যাবে না। তাঁর সুখ্যাতি কেবল দেশের মধ্যে নয়, ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশেও। তিনি বোমন ইরানি (Boman Irani)। যে কোনও ধরনের চরিত্রে যিনি সাবলীল, অনবদ্য। যে কোনও চরিত্রকে আলাদা 'উঁচাই'তে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর অপরিসীম। আজ, ২ ডিসেম্বর, তাঁর ৬৩তম জন্মদিনে বোমন ইরানি (Happy Birthday Boman Irani) অভিনীত বিশেষ কিছু ছবির মাধ্যমেই উদযাপন করা যাক এই ব্যক্তিত্বকে।
'মুন্না ভাই এমবিবিএস':
২০০৩ সালে মুক্তি পায় সঞ্জয় দত্তের ছবি 'মুন্নাভাই এমবিবিএস'। কিন্তু এখনও সেই ছবির কদর করেন সিনেপ্রেমীরা। এমনকী দর্শক তো এখনও বোমন ইরানিকে সেই ডক্টর আস্থানা নামেও মনে রেখেছেন। নেতিবাচক চরিত্রের কলেজ ডিন, বোমন ইরানির দুর্দান্ত অভিনয় এই ছবির বক্স অফিস কালেকশনে বিশেষ গুরুত্ব রেখেছিল।
'মাসুম':
ওটিটিতে প্রথম পদার্পণ বোমন ইরানির 'মাসুম' ছবির হাত ধরে। দর্শকদের প্রিয় তারকা এখানে ডক্টর বলরাজ কপূরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একজন সম্মানিত ডাক্তার হিসাবে অভিনেতার পারফরম্যান্সের পরিধি, যিনি কিছু পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য তাঁর যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন, ছবিতে দুর্দান্ত। অত্যন্ত সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের প্রভাবিত করার অদ্ভুত ক্ষমতা রাখেন তিনি।
'থ্রি ইডিয়টস'
কলেজ জীবনের সেই বিখ্যাত ডিন, ভীরু সহস্ত্রবুদ্ধে ওরফে 'ভাইরাস'। বোমন ইরানির কর্মজীবনের নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা অভিনয়। এখনও যে চরিত্রকে মাইলফলক হিসেবে দেখা হয়। একই অঙ্গে একদিকে কঠিন ডিন অন্যদিকে আবেগপ্রবণ বাবা, চোখে জল এনেছিলেন তিনি।
'খোসলা কা ঘোসলা'
২০০৬ সালের ছবিতে বোমন ইরানির চরিত্রের নাম ছিল কিষাণ খুরানা। তাঁর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী চরিত্রগুলির মধ্যে থাকা অন্যতম। এখানে অভিনেতাকে কুটিল এবং শক্তিশালী সম্পত্তি ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। তাঁর সাবলীল অভিনয়ের জন্য ছবিটি দর্শকদের মনোযোগ বিশেষ আকর্ষণ করেছিল।
'জয়েশভাই জোরদার'
চরিত্রের নাম মিথিলেশ পারেখ। বোমন ইরানির সাম্প্রতিক ছবিগুলির অন্যতম। গোঁড়া গুজরাতি পরিবারের প্রধান এবং কঠোর হৃদয় একজন পঞ্চায়েত প্রধানের চরিত্রে আবারও বোমন ইরানির অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও সাবলীল অভিনয় মানুষকে মুগ্ধ করে।
আরও পড়ুন: Kartik Aaryan: এবার 'মিশন ইমপসিবল'-এর পরবর্তী পার্টে টম ক্রুজের পরিবর্তে কার্তিক আরিয়ান?
আসলে বোমন ইরানির উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলির তালিকা তৈরি করতে গেলে তা শেষ হবে না সহজে। যার মধ্যে কমেডি, ড্রামা সব মিলেমিশে রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক চরিত্রের ক্ষেত্রেই নিজেকে বারবার ভেঙেচুরে নতুন করে দর্শকদের কাছে পেশ করেন অভিনেতা। সেটাই তাঁর বহুমুখী প্রতিভার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।