মুম্বই: দীর্ঘ ২৭ দিন চিকিৎসা চলার পরও শেষ রক্ষা হল না। চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। জানুয়ারি মাসের একেবারে শুরুর দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন সুর সম্রাজ্ঞী। সেখানেই আইসিইউতে চলছিল তাঁর চিকিৎসা। চিকিৎসক প্রতীত সমদানীর তত্বাবধানে ছিলেন। করোনা সংক্রমণের সঙ্গে ছিল নিউমোনিয়ার সমস্যাও। চিকিৎসকরা জানাচ্ছিলেন, বয়স হওয়ার কারণে তাঁর সেরে উঠতে সময় লাগছে। কিন্তু দুই অসুখের প্রকোপ তাঁর শরীরটাকে আর সেরে উঠতেই দিল না। 


লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। দেশের বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিরা এদিন সুর সম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন। বলিউডের জনপ্রিয় প্রযোজক বনি কপূর এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন।


আরও পড়ুন - Lata Mangeshkar Demise: এই হিন্দি গানগুলি মানেই লতা মঙ্গেশকর


এদিন শ্রীদেবী ও তাঁর সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের একটি ছবি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বনি কপূর লেখেন, 'লতা মঙ্গেশকরজি-র চলে যাওয়ার খবর শুনে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি মানুষের জন্য গানের এক অফুরন্ত ভান্ডার রেখে গেলেন। যা আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মোহিত করে রাখবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই।'



চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছিল তাঁর। বের করা হয়েছিল ভেন্টিলেশন থেকেও। তবে ফের তাঁর ফের স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আইসিইউ-তে। গতকাল রাত থেকেই শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়েছিল তাঁর। গতকাল লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পাওয়ার পরই দিদিকে দেখতে  মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বোন আশা ভোঁসলে। আশা ভোঁসলে ছাড়াও, চলচ্চিত্র নির্মাতা মধুর ভান্ডারকর, সুপ্রিয়া সুলে এবং রশ্মি ঠাকরেকেও লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতালে যান। এর আগে, এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরেও হাসপাতালে লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।  লতাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। লতাকে দেখতে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন মধুর ভান্ডারকর।