সাইদাবাদ পুলিশ স্টেশনের সার্কল ইনসপেকটর শ্রীনিবাস এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই আইনজীবীর অভিযোগ, ফারহান তাঁর ট্যুইট-পোস্টে মুসলিম, রূপান্তরকামী, নাস্তিক ও দলিতদের দেশের বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য উস্কেছেন। অভিযোগ, ফারহানের মন্তব্য বিভিন্ন জায়গায় অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ডেকে আনতে পারে।
অভিযোগকারী আইনজীবী হিন্দু সংগঠনের সভাপতি। তাঁর দাবি, ১৮ ডিসেম্বর ফারহানের করা একটি ট্যুইট বিভিন্ন এলাকায় চূড়ান্ত অরাজকতার সৃষ্টি করতে পারে। অভিযোগে বলা হয়েছে, "আমি আমার টুইটার অ্যাকাউন্টটি ব্রাউজ করার সময় ১৮ ডিসেম্বর ফারহান আখতারের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করা একটি টুইট দেখতে পাই। তাতে বলা হয়েছে, ‘ এই বিক্ষোভ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা সম্পর্কে আপনার জানা দরকার। ১৯ ই আগস্ট মুম্বইয়ের ক্রান্তি ময়দানে দেখা হবে।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় একাই প্রতিবাদের সময় শেষ, এর সঙ্গে একটি বিবৃতি সহ ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে অমানবিকভাবে মুসলিম, রূপান্তরকামী, নাস্তিক, দলিত ভূমিহীন এবং নথিপত্র নেই এমন মানুষকে নাগরিক হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে না এবং তাদের জেলে ঢোকানো হতে পারে, কিংবা দ্বীপান্তর করা হতে পারে।"
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, ফারহান জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও শঙ্কা সৃষ্টি করার জন্য ছবিটি ট্যুইটারে ইচ্ছাকৃতভাবে পোস্ট করেছেন এবং তাদের উস্কানি দিয়েছেন, এর পরে সমগ্র ভারতে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ শুরু হয়, যাতে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি হয়।