কলকাতা: সকাল থেকে রাত, জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। অবসর কাটানো থেকে শুরু করে কর্মজীবন, সবকিছুতেই ছাপ ফেলে ফেসবুক, ট্যুইটার ইনস্টাগ্রাম। একাধিকবার হ্যাকারদের জালে পড়ে নাজেহাল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে হ্যাকারদের কবলে পড়ে সোশ্যাল অ্যাকাউন্টের তথ্য খুইয়েছেন এমন সেলেবদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ফের একবার সেই সমস্যার কথাই শোনালেন অভিনেত্রী মানালি দে ও অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অশ্লীল বা ভুয়ো বার্তা দিয়ে তারকাদের ভাবধারা নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে আগেও। কিন্তু সোহমের অভিযোগটা একটু অন্যরকম। এবিপি আনন্দকে সোহম জানান, ‘আমার সোশ্যাল মিডিয়ার দেখাশোনা করে যে টিম, তারাই জানায় আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার্স ছিল আমার। বেশিরভাগ ফলোয়ার্সকেই ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সংখ্যাটা ২ লক্ষে নেমে এসেছে। আমার অনুরাগীদের কাছে যাতে কোনও ভুল বার্তা না যায়, সেই উদ্দেশ্যে একটি ফেসবুক লাইভ করি আমি সঙ্গে সঙ্গে। সেখানে আমি সবিস্তারে জানাই আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার কথা। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি সেই লাইভটাকেও ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। আমি আপাতত লালবাজারের সাইবার ক্রাইম সেলে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’ তবে সোহম জানান, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কোনও ভুয়ো বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা হয়নি।
অভিনেতার পাশাপাশি সোহমের একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী তিনি। সোহম বলছেন, ‘আমার একটা রাজনৈতিক পরিচয় আছে বলেই এই হেনস্থা করার চেষ্টা। তবে এইভাবে আমায় দমানো যাবে না। যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি আমি।’
অন্যদিকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও প্রায় একই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী মানালি দে।
পরিবারের সঙ্গে শান্তিনিকেতন ঘুরতে গিয়েছিলেন মানালি। হঠাৎই দেখেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিট হয়ে গিয়েছে সমস্ত নাম ও তথ্য। বদলে ফেলা হয়েছে তাঁর প্রোফাইলের নামও। বিয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন মুহূর্ত, মানালির সব সোশ্যাল স্মৃতি একেবারে উধাও। মানালি বলেছেন, ‘অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আমার সমস্ত ছবি মুছে দিয়েছে। এমনকি ফলোয়ার্স তালিকাও ফাঁকা। আর কিছুই ফিরিয়ে আনতে পারলাম না। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছি।’ সোহমের মত মানালীর ইনস্টাগ্রাম থেকেও কোনও ভুয়ো বার্তা বা অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ নেই।