ষাট - সত্তরের দশকের দাপুটে অভিনেত্রী (Waheeda Rehman)। বলা যায় বলিউডে তাঁর কয়েক দশক ধরে বলিউড শাসন করেছেন তিনি। কখনও  দেব আনন্দের বিপরীতে, কখনও গুরু দত্তের বিপরীতে মন কেড়েছে তাঁর দক্ষ অভিনয়। সাফল্যে ভরেছে তাঁর ঝুলি । বলিউড পেরিয়ে আঞ্চলিক ছবিতেও মন কেড়েছেন তিনি। প্রশংসিত হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের ‘অভিযান’ ছবিতে তাঁর অভিনয়। ডাকসাইটে সুন্দরী, দক্ষ অভিনেত্রী, এক সময়ে বহু যুবকের হৃদয়ে ঝড় তোলা ওয়াহিদা রহমান সম্মানিত হতে চলেছেন দাদাসাহেব ফালকে লাইফ টাই অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে (Dadasaheb Phalke Lifetime Achievement Award ) । 


তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একটি জাতীয় পুরস্কার এবং তিনটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। ষাট - সত্তরের দশকে তিনি ছিলেন হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ১৯৭২ সালে, ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করে এবং পরবর্তীকালে তিনি ২০১১ সালে পদ্মভূষণ সম্মান পান। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে  কাজ করেছেন তিনি।  ৯০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন ওয়াহিদা। পঞ্চাশের দশকে ‘পিয়াসা’, ‘সাহেব বিবি অউর গোলাম’, ‘কাগজ কে ফুল’-এর মতো কালজয়ী ছবির মুখ্য অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। দেব আনন্দের সঙ্গে ‘সোলভা সাল’ ছবিতে তাঁর কাজ সারা দেশে সাড়া ফেলে দেয়। দেব আনন্দের সঙ্গে ‘গাইড’ ছবিতে মুগ্ধ করেছিলেন তিনি। দিলীপ কুমারের বিপরীতে ‘রাম অউর শ্যাম’ মনে রাখার মতো কাজ। রাজ কপূরের সঙ্গে ‘তিসরি কসম’ও কালজয়ী। এছাড়াও কাজ করেছেন রাজেন্দ্র কুমার থেকে রাজেশ খন্নাদের সঙ্গে। 


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X (পূর্বে টুইটার)  একটি দীর্ঘ পোস্ট করে সুখবরটি ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন "ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ওয়াহিদা রহমানজিকে এই বছর  দাদাসাহেব ফালকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হচ্ছে।  এই ঘোষণা করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দ ও সম্মানিত অনুভব করছি৷ ওয়াহিদাজি তাঁর অসাধারণ কাজের জন্য বরাবর সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছেন ৷ হিন্দি চলচ্চিত্রে তাঁর কাজের মধ্যে বিশেষভাবে প্রশংসিত পেয়াসা, কাগজ কে ফুল, চৌধভি কা চাঁদ, সাহেব বিবি অর গুলাম, গাইড, খামোশি এবং আরও বেশ কিছু ছবি। ৫ দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী তাঁর কেরিয়ার। তিনি তাঁর ভূমিকায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন, যে জন্য তিনি রেশমা এবং শেরা ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ওয়াহিদাজি পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরষ্কার পেয়েছেন।  তিনি তাঁর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ স্তর অবধি পৌঁছেছিলেন।' 


 


শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নয়, সমাজসেবী হিসেবেও অনন্যতা দাবি রাখেন ওয়াহিদা।