ফাগওয়াড়া: ‘দঙ্গল’-এ তাঁকে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা তাঁর চরিত্রের প্রতি সুবিচার নয়। এই অভিযোগে প্রাক্তন জাতীয় কুস্তি কোচ পি আর সোন্ধি আমির খানকে ক্ষমা চাইতে বললেন।


২০১০-এ কমনওয়েলথ গেমসে যোগ দেওয়ার আগে এই সোন্ধিই প্রশিক্ষণ দেন গীতা ও ববিতা ফোগতকে। ছবিতে দেখানো হয়েছে, তাঁর ভুল ট্রেনিংয়ের জেরে গীতা ফোগতের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যেতে বসেছিল। এমনকী ঈর্ষার বশে ফাইনালের দিন গীতার বাবা মহাবীর সিংহ ফোগতকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখেন তিনি।

সোন্ধি দাবি করেছেন, ছবিতে তাঁর চরিত্র বিকৃত করে দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ফোনে বৃহস্পতিবার তিনি কথা বলেছেন পর্দায় মহাবীরের ভূমিকায় অভিনয় করা আমির খানের সঙ্গে। দাবি করেছেন, ক্ষমা চাইতে হবে।

সোন্ধি জানিয়েছেন, আমিরকে তিনি বলেছেন, ছবি হিসেবে ‘দঙ্গল’ ভাল, এর ফলে দেশে খেলাধুলোর উন্নতি হবে, উপকৃত হবে কুস্তি। বিশেষ করে উত্তর ভারত, যেখানে কন্যা ভ্রূণ হত্যার অভিশাপ রয়েছে, সেখানে নারী-পুরুষ সমানাধিকারের ক্ষেত্রে ছবিটি বিরাট ভূমিকা নিতে পারে।

কিন্তু যেভাবে দুই কুস্তিগীর বোনের কোচকে ভিলেন করে দেখানো হয়েছে, তাতে তাঁর ভাবমূর্তির বিরাট ক্ষতি হয়েছে। এতে কোচদের ছোট করে দেখানো হয়েছে, তাঁর আশা, আমির ফোন করে সরি বলবেন তাঁকে।

আমির ঠান্ডা মাথায় তাঁর অভিযোগ শুনেছেন বলেও সোন্ধি জানিয়েছেন।

এতদিন এ বিষয়ে চুপ করে থাকার পর মুখ খুলেছেন আমিরও। জানিয়েছেন, ছবির স্বার্থে কিছু ঘটনায় কল্পনার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তবে গীতা, ববিতা ও মহাবীরের চরিত্রে বদল আসেনি কোনও।

সোন্ধি অবশ্য এই সাফাই শুনতে মোটেই রাজি নন। তাঁর বক্তব্য, ছবির স্বার্থে গল্প খানিকটা বানাতে হয়, তা তিনি জানেন কিন্তু যেভাবে তাঁকেই বলির পাঁঠা করা হয়েছে, তাতে তাঁর ঘোরতর আপত্তি রয়েছে।

গীতার ফাইনালের দিন মহাবীর সিংহ ফোগতকে কোচ ঘরে বন্দি করে রাখেন বলে যা দেখানো হয়েছে, তা পুরোপুরি মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, এমন কিচ্ছু ঘটেনি। মহাবীর অত্যন্ত ভদ্রলোক ছিলেন, জাতীয় স্তরে মেয়েদের প্রশিক্ষণে কখনও তিনি নাক গলাতেন না।

৭০ বছরের এই কোচ অবসরের পর এখন একটি কুস্তি অ্যাকাডেমি চালাচ্ছেন।