নয়াদিল্লি: শ্রী অরবিন্দের  ১৫০তম জন্মতিথি (150th anniversary of Sri Aurobindo) ও ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ (75th anniversary of India’s Independence) উপলক্ষ্যে দূরদর্শনে দেখানো হবে ইংরেজির 'দ্য ট্রান্সফর্মেশন' (The Transformation) ও হিন্দির 'নয়া জন্ম' (Naya Janma) ছবি দুটি যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ অগাস্ট। ছবিটি মোটামুটি ৫৪ মিনিট দীর্ঘ।


ডিডি-কে শ্রী অরবিন্দকে নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি ছবির টেলিকাস্ট


'দ্য ট্রান্সফর্মেশন'-এর হিন্দি সংস্করণ 'নয়া জন্ম'। ১৯০৮ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত যে সময়টা অরবিন্দের জীবনের আধ্যাত্মিক বিবর্তনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেই সময়েই কথা তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। আলিপুর বোমা মামলার বিচার, যা ১৯০৮ সালের মে থেকে ১৯০৯ সালের মে পর্যন্ত হয়েছিল, একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। সেখানে ব্রিটিশ সরকার শ্রী অরবিন্দকে, তৎকালীন এক বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী নেতা অরবিন্দ ঘোষ, তাঁর ভাই বারীন্দ্র ঘোষ, এবং অনেক তরুণ বিপ্লবীর সঙ্গে গ্রেফতার করে।


তাঁদের বিরুদ্ধে 'ষড়যন্ত্র' বা 'রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর' অভিযোগ আনা হয় - যা উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমতুল্য এবং ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য। 


এই তথ্যচিত্রে সেই সময়ে যা যা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটছিল সেগুলোতেই আলোকপাত করে। মুজাফফরপুর, বিহারের যে যে স্থানে আসলে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল সেখানের শট আছে ছবিতে। যে বিস্ফোরণের কারণে ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। যে রেলস্টেশনে প্রফুল্ল চাকি ধরা পড়ার আগে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন সেই জায়গা দেখানো হয়েছে। যে পাহাড়ে বারীন্দ্র ঘোষ এবং তাঁর সহযোগীরা বোমা পরীক্ষা করেছিলেন তাও দেখানো হয়েছে।


ছবিতে দেখানো হয়েছে সেই কলকাতা আলিপুর জেলের দৃশ্য যেখানে শ্রী অরবিন্দকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছিল এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ পাবলিক লাইব্রেরি, যেখানে শ্রী অরবিন্দ প্রথম প্রকাশ্যে তাঁর যোগ এবং তাঁর আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। ব্রিটিশ লাইব্রেরি ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি থেকে পাওয়া বিরল কিছু সংবাদপত্র যেখানে শ্রী অরবিন্দের নিজের লেখা রয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই এই ছবি তৈরি।


আরও পড়ুন: Bollywood Movie Updates: অগ্রিম বুকিংয়েই কত টাকার ব্যবসা করল আমির-অক্ষয়ের ছবি?


একাধিক ক্যামেরায় শ্যুট করা 'দ্য ট্রান্সফর্মেশন' পরিচালনা করেছেন অভিজিৎ দাশগুপ্ত, যিনি ইতিমধ্যেই ৩০-এরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তথ্যচিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। সঙ্গীত পরিচালনায় পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার এবং সাউন্ড ডিজাইন করেছেন অনুপ মুখোপাধ্যায়। সত্যেন্দ্র মহন্তি ছবির সম্পাদক।


ছবিতে শোনা যাবে 'ছোটা তীজন' সীমা ঘোষের কণ্ঠে পাণ্ডবাণী এবং ১৯১০ সালের একটি গান পুনরায় তৈরি করেছেন সোহিনী রায় চৌধুরী।


কোর্টরুমের দৃশ্যগুলিতে, সাইরাস মদন প্রসিকিউটিং কাউন্সেল ইয়ার্ডলি নর্টনের ভূমিকায় রয়েছেন। প্রদীপ মিত্র অতিরিক্ত দায়রা জজ চার্লস বিচক্রফ্ট এবং অশোক বিশ্বনাথন তৎকালীন তরুণ ব্যারিস্টার দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের চরিত্রে রয়েছেন।


ছবিটির প্রযোজনার দায়িত্ব নিয়েছে 'শ্রী অরবিন্দ সোসাইটি' এবং 'কলকাতা সুকৃতী ফাউন্ডেশন'।