কলকাতা: ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন প্রায় ১৮-১৯ বছর। বড়পর্দা, ছোটপর্দা মিলিয়ে তাঁর কাজের সংখ্যা নেহাত কম নয়। যথেষ্ট ভারি অভিজ্ঞতার ঝুলিও। আপাতত 'সর্বজয়া' ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে কাজ করা অন্যতম বড় পাওনা তাঁর কাছে। তবে কেরিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় কাজ করা। ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন দেখছেন চোখের সামনে, তা কতটা ভাবায় অভিনেত্রী দেবযানী চট্টোপাধ্যায়কে (Debjani Chattopadhyay)?
আপাতত 'সর্বজয়া' ধারাবাহিকের কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী। সঙ্গে চলছে 'শবর' সিরিজের নতুন ছবির ডাবিংও। কতটা ব্যস্ত অভিনেত্রী? দেবযানী বলছেন, 'আমি আগের মতো সপ্তাহে ৭ দিন শ্যুটিং করি না আর। ছুটির দিন গুলোয় অন্যান্য কাজ করি। আমার একটা বুটিক আছে তার দেখাশোনা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। দেখা যায় ছুটিতেই বেশি কাজ করছি। তবে আমি ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসি।'
আরও পড়ুন: Ishaa Saha Exclusive: 'আমার জীবন খুব সোজাসাপ্টা, জন্মদিনে নিজের জন্য নিজেই উপহার কিনি'
বড়পর্দা থেকে শুরু করে ছোটপর্দা, ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে ছবি বা ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য। আরও নারীকেন্দ্রীক হচ্ছে গল্প। এই পরিবর্তন ভাবায় দেবযানীকে? অভিনেত্রী বলছেন, 'মুম্বইয়ের মধ্যবয়সী অভিনেত্রীরা কত ভালো ভালো চরিত্রে অভিনয় করছে। শেফালি শাহ, রবিনা টন্ডন, এদের বয়সকে মাথায় রেখেই গল্প ভাবা হচ্ছে। এখন টলিউডে নতুন যাঁরা কাজ করছেন, সেইসব পরিচালকেরাও এই ধারায় ঝুঁকেছেন। বাংলা ধারাবাহিকেও সেই ছায়া। সর্বজয়া, শ্রীময়ী, লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার, সবই মধ্যবয়সী নারীদের নিয়ে গল্প। এই বয়সের মহিলারা যে কেবল ছেলেমেয়েদের খাওয়াবে আর সংসার সামলাবে তা নয়। তাদের মধ্যেও যে নিজের জীবনকে ভালো ভাবে বাঁচার একটা ইচ্ছা থাকে, তাদের মধ্যেও যে এক অষ্টাদশী লুকিয়ে থাকে, সেই গল্পকেই তুলে আনা হচ্ছে পর্দায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আমরা, মধ্য়বয়সী অভিনেতা অভিনেত্রীরা প্রচুর সুযোগ পাচ্ছি।'
দীর্ঘদিন অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত, সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র কী ছিল? দেবযানী বলছেন, 'রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় 'লে ছক্কা' ছবিতে আমার চরিত্রটা দারুণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। একটা শট ছিল, আমায় শাড়ির আঁচল ফেলে দিতে হবে। ছাদে শ্যুটিং চলছে। নীচে প্রায় সব মিলিয়ে হাজার লোক দাঁড়িয়ে তখন অতটা সাবলীল ছিলাম না। সেইসঙ্গে মাথায় কাজ করছিল, চরিত্রের কষ্টটা ফুটিয়ে তুলতে হবে, কিন্তু যেন বিন্দুমাত্র অশ্লীল না মনে হয়।'