কলকাতা: সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই পায়েসের গন্ধ তাঁকে বলে দেয়, আজকের দিনটা একটু অন্যরকম, একটু বিশেষ। জন্মদিন নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই অভিনেত্রী। ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতে ভালোবাসেন প্রতি বছর। তাঁর কথায়, 'আমার জীবন ভীষণ সোজাসাপ্টা আর ভীষণ একঘেয়ে।' কিন্তু অনুরাগীদের কাছে তিনি টলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা। সকাল থেকে তাই মোবাইল ফোন ভেসে যায় শুভেচ্ছাবার্তায়। যেন বোঝাই যায় না দিনটা কেমন করে পেরিয়ে গেল। আজ সকাল থেকেও ব্যস্ততায় সময় কেটেছে অভিনেত্রীর। বাড়িতে পুজো, মায়ের হাতের পায়েস, তারপর শ্যুটিংয়ে বেরিয়ে পড়া। গাড়িতে যেতে যেতে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভের সঙ্গে জন্মদিনের গল্প করছিলেন ইশা সাহা (Ishaa Saha)।


ছোটবেলায় জন্মদিনের মধ্যেই স্কুলের পরীক্ষা থাকত। ইশা বলছেন, 'ছোট থেকে খুব দুঃখ ছিল যে আমার জন্মদিনের দিনও স্কুলে পরীক্ষা দিতে যেতে হত। ঠিক সেইদিন পরীক্ষা না পড়লেও পড়াশোনার চাপ তো থাকতোই। ফলে আমার জন্মদিন বাড়িতে কখনও খুব বড় করে উদযাপন হত না। তবে নিয়ম রয়েছে জন্মদিনে বাড়িতে একটা পুজো দেওয়ার। সেটা এখনও বজায় আছে। এই দিনটায় আমি আপত্তি করি না। আর হ্যাঁ, মায়ের হাতের পায়েস তো আছেই। তবে বড় হয়ে গেলে জন্মদিনটা খুব একঘেয়ে হয়ে যায়। আমি পার্টি কতে ভালোবাসি না। তাই উপহার নেই, অনুষ্ঠান নেই। বরং তোড়জোড় করে উদযাপন করতে গেলেই মনে হয় বাচ্চাদের মত করছি।'


আরও পড়ুন: সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প বলবেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও লিলি চক্রবর্তী, পরিচালনায় অর্ণব মিদ্যা


এই বছর জন্মদিনটা কীভাবে কাটাচ্ছেন ইশা? অভিনেত্রী বললেন, 'গতকাল রাতে ১২টার পর শ্যুটিং শেষ হয়েছে। তারপরে ২জন বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে কেক কাটা হল। আজ শ্যুটিংয়ে ঢোকার আগে বন্ধুদের সঙ্গে দুপুরে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন রয়েছে। তারপর কাজ..শ্যুটিং..' জন্মদিনেও শ্যুটিং! হেসে ফেলে অভিনেত্রীর উত্তর, এটা গত ২ বছর চলছে। এর আগে ঠিক জন্মদিনের আগে শ্যুটিং শেষ হয়ে যেত অথবা পরে শুরু হত। ২০২১ আর ২০২২ সালে প্রথম জন্মদিনে কাজ পড়ল। অন্যরকম কিন্তু আমি বেশ উপভোগ করছি এটা। যত কাজ থাকে তত ভালো।'


বড় হয়ে আর তেমন উপহার না পাওয়ার আফশোস শোনা গেল ইশার গলায়। তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া সেরা উপহার? ইশা হেসে বললেন, ' যবে থেকে কাজ করি, আমি নিজেকে নিজে উপহার দিই প্রতি বছর। তার মধ্যে সেরা উপহার আমার গাড়িটা। আগামীকাল আমার গাড়ির জন্মদিন। এই বছর এখনও নিজের জন্য কিছু কিনে উঠতে পারিনি। হয়তো একটা ঘড়ি কিনব। পুজোয় তো তেমন কেনাকাটি করা হয় না। জন্মদিনটা নিজের জন্য শপিং করার একটা মস্ত অজুহাত।'