কলকাতা: সহ পরিচালনার আসন ছেড়ে এবার সম্পূর্ণ ছবি পরিচালনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন সব্যসাচী হালদার (Sabyasachi Halder)। ছবির নাম 'বয়কট' (Boycott)। প্রকাশ্যে এল প্রথম পোস্টারও। এর আগে ধারাবাহিক ও ওয়েব সিরিজে সহ পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন সব্যসাচী।


'বয়কট' ছবির গল্প সংক্ষেপে


অভীক এক বিখ্যাত চিত্রনাট্যকারের ছেলে। সেই কারণে কলকাতার এক বিখ্যাত ফিল্ম ইনস্টিটিউটের এক উজ্জ্বল ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও কাজ পেতে অসুবিধা হয় তাঁর। সম্প্রতি কোনও এক ঘটনায় নেপোটিজম অর্থাৎ স্বজনপোষণ নিয়ে বেশ চর্চা হয়। সেই বিতর্ক খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব ফেলে অভীকের জীবনেও। প্রায় সমস্ত জায়গা থেকেই তার নাম বাতিল হয়ে যায় কারণ তার বাবা বিখ্যাত। 


কিন্তু অভীকও একজন পরিচালক হয়ে উঠতে চায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও বাস্তব যে বড়ই জটিল। এই ব্যাপারটা বেশ টের পায় সে। ইন্ডাস্ট্রিতে একটা কাজের সুযোগের আশায় প্রযোজকদের দ্বারে দ্বারে ঘোরার সময়েই বাস্তব বুঝতে পারে সে। তবে হাল ছাড়ার পাত্র নয় সে। 


এমন সময়ে এক বিখ্যাত অভিনেতা প্রযোজকের সুনজরে পড়ে সে। সেই প্রযোজক অভীককে দিয়ে ছবি করাতে চায়। একদিনে স্বপ্ন সার্থক হতে শুরু করে অভীকের। তাঁর ছোটবেলার প্রিয় বন্ধু আবার ক্যামেরা নিয়ে পড়াশোনা করেছে। সে একজন আলোকচিত্রশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চায়। ছোটখাটো কিছু কাজ করলেও বড় ব্রেক পায়নি এখনও। এবার একটা বড় ছবির কাজ পেয়ে বন্ধুর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ শুরু করে সে। কিন্তু সেখানেও শুরু হয় সমস্যা। তারা বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। রীতিমতো জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। পরিচালত অভীক কি পারবে নিজেকে ও নিজের প্রাণের সিনেমাকে এই বিতর্ক থেকে বাঁচাতে?


আরও পড়ুন: 'Double XL': বড়পর্দায় জোড়া ধামাকা, সোনাক্ষী-হুমার 'ডবল এক্সএল' ছবির মুক্তির তারিখ ঘোষণা


কী বলছেন পরিচালক?


পরিচালক সব্যসাচী হালদারের কথায়, 'বয়কট এই মুহূর্তে ভারতজুড়ে ট্রেন্ডিং। কখনও কোনও সেলিব্রিটিকে বয়কট করা হচ্ছে তো কোথাও কোনও সিনেমা বয়কট করা হচ্ছে। স্টার-কিড বা স্বজনপ্রীতি বিতর্কের শেষ নেই। এই বিষয়ে প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত আছে। কেউ বলে ভাল, কেউ বলে খারাপ। এই বাস্তব প্রেক্ষাপট নিয়েই আমার ছবি 'বয়কট'-এর গল্প। এই চলচ্চিত্রটি চলচ্চিত্রের গল্প বলবে। মহামারী চলাকালীন আমরা বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। মানুষ পছন্দ করুন বা না করুন তার উপর ভিত্তি করে যখন একটি সিনেমা বয়কট করা হয়, তখন পুরো কাস্ট, ক্রু এবং প্রযোজকের অর্থ সেই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম নষ্ট হয়ে যায়। এই গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক হতে পারে, তবে এতে বাস্তব সত্যের অনেক রূপক রয়েছে। এই গল্পটি সেই সাধারণ মানুষদের নিয়ে যাঁরা তাঁদের পুরো জীবন সিনেমার জন্য উৎসর্গ করেছে।'


এর আগে 'তোতা কাহিনী' নামক ধারাবাহিক ও 'যোগসূত্র', 'দ্য ফ্রুট অফ এভিল' ওয়েব সিরিজে সহ পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন সব্যসাচী। 'বয়কট' তাঁর স্বাধীন পরিচালনায় প্রথম ফিচার ছবি।