বেঙ্গালুরু: ছবির জগতে মেয়ের দুর্দান্ত সাফল্য নিয়ে কমই মুখ খুলেছেন তিনি। কিন্তু দীপিকার জন্য রীতিমত গর্বিত প্রকাশ পাড়ুকোন। বেঙ্গালুরুতে তাঁর ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির সহকারী কোচ বিমল কুমার প্রকাশের সামনেই প্রসঙ্গটি তুলে জানিয়েছেন, ১৮ বছর বয়সে দীপিকা যখন মুম্বই যেতে চান, তখন অল্পবয়সি মেয়েকে এভাবে ছেড়ে দিতে প্রকাশ মোটেই রাজি ছিলেন না। কিন্তু মডেলিং লাইনে কেরিয়ার গড়ে তুলতে আগ্রহী দীপিকা গোঁ ধরে থাকেন।


মডেল হিসেবে কিছু রোজগার করে তিনি ভর্তি হন পুনেতে এক অভিনয় শেখার স্কুলে। তাতেও তাঁর বাবা মায়ের আপত্তি ছিল কিন্তু নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিঃসংশয় ছিলেন দীপিকা।

বিমল জানিয়েছেন, অভিনয়ের ওপর কোর্স করার পর ‘ওম শান্তি ওম’-এ কাজের কথা বলা হয় দীপিকাকে। কিন্তু একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, সিনেমাটি হতে আরও কয়েক বছরের অপেক্ষা। তখন আবার তিনি বাবার সঙ্গে কথা বলেন। প্রকাশ বলেন, ফিরে এসে অন্য কেরিয়ার বেছে নিতে। কিন্তু দীপিকা জানান, তিনি অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে তিনি একটি কন্নড় ছবিতে সই করেন। তখন প্রকাশ বলেছিলেন, ছবি করলে বলিউডেই করতে। কিন্তু দীপিকার যুক্তি ছিল, হিন্দির আগে আঞ্চলিক ভাষায় এই ছবিটি করলে তাঁর ছবি সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা হবে।

তারপর একদিন প্রকাশ বিমলকে বলেন, নিজের ছেলেমেয়েকে কখনও ছোট করে ভেব না।

বিমলের কথায় সায় দিয়ে প্রকাশ জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে যেভাবে পরিবারের অমতে গিয়ে নিজের পথ বেছে নেন, তাতে তিনি বুঝে গেছেন, এখনকার ছেলেমেয়েরা সত্যিই স্মার্ট। তাঁরা অন্তত তিন-চারবার ভেবেছিলেন, মেয়ে ভুল পথে হাঁটছেন। দীপিকার মুম্বই যাওয়া, শাহরুখ খানের সঙ্গে ছবির জন্য অপেক্ষা, কন্নড় ছবি করার মত আরও কয়েকটি জিনিস তাঁদের ঘোরতর অপছন্দ ছিল। কিন্তু পরে মেনে নিয়ে তাঁকে বলতে হয়, মেয়েই ঠিক ছিলেন, আর তাঁরা ভুল। এমনকী ঠিকমত ব্রেকের জন্য মেয়ের টাকা প্রতীক্ষায় অধৈর্য হয়ে তাঁকে ছোট রোল করারও পরামর্শ দেন তাঁরা। কিন্তু মেয়ে স্পষ্ট বলে দেন, আমি জানি আমি কী করছি, তোমরা চুপ করে থাক।

তাই প্রকাশের উপলব্ধি, বাবা মার সন্তানকে সব সময় সমর্থন করা উচিত, যাতে তাঁরা নিজেদের পছন্দের ক্ষেত্রে সেরা হতে পারেন। সব কিছুতে বাড়াবাড়িরকম নাক গলানো উচিত নয়।