কলকাতা: দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) আর সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা (Sandeep Reddy Vanga)-র দ্বৈরথে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত বলিউড। সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার নতুন ছবি 'স্পিরিট' থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দীপিকাকে। এর একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি যেমন ছিল দীপিকার পারিশ্রমিক, তেমনই অন্যটি ছিল, দীপিকা দিনে ৬ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে চাননি। তিনি আরও বলেছিলেন, ১০০ দিনের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হবে। সেটা না করলে প্রতিটি দিনের জন্য তাঁকে আলাদা পারিশ্রমিক দিতে হবে। এতে রাজি হননি সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা। দীপিকার সঙ্গে মতের অমিল হওয়াতে নায়িকা ছবি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর বদলে 'স্পিরিট'-এ অভিনয় করবেন তৃপ্তি দিমরি (Tripti Dimri)।
এই ঘটনার পরে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে শুরু করে পরিচালকেরা দীপিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই বলেছেন যে, দীপিকার এই দাবি অত্যন্ত ন্যায্য। ৯০ -এর দশকে এই নিয়ম মেনেই শ্যুটিং হত। কিন্তু বর্তমানে কাজের সময় কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। তবে এবার, এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandhana)। তিনি অবশ্য এই বিষয়ে দীপিকা নয়, দাঁড়ালেন সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার পাশেই।
এর আগে, 'অ্যানিমাল' (Animal) ছবিতে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার সঙ্গে কাজ করেছেন রশ্মিকা। তাঁর মতে, এর আগে তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে সময় বেঁধেই কাজ করেছেন। তবে বলিউডে বিষয়টা একেবারেই আলাদা। বলিউডে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্তও শ্যুটিং হয় অনেক সময়। কারণ কিছু ছবির সেটাই প্রয়োজন। তেলুগু, কন্নড় আর তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত শ্যুটিং করেই অভ্যস্থ রশ্মিকা। এরপরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম, এই সমস্তই করেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তবে রশ্মিকার কথায়, বলিউডের ছবিটা একেবারেই আলাদা। এখানে অনেক ছবি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শ্যুটিং দাবি করে। এখানেই শেষ নয়... অনেক সময় শ্যুটিংটা পরেরদিন পর্যন্ত চলে। অভিনেতা অভিনেত্রীরা অনেক সময়েই ৩৬ ঘণ্টা বা ৩৮ ঘণ্টা বাড়ি না গিয়ে টানা শ্যুটিং করেন। এটাি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে দাবি রশ্মিকার।
রশ্মিকা জানিয়েছেন, তিনি যেমন ঘড়ি ধরে শ্যুটিং করতে পারেন, তেমনই প্রয়োজন পড়লে টানা শ্যুটিং ও করে যেতে পারেন। দুটোতেই রাজি তিনি।