কলকাতা: গোটা বাংলা ভাসছে আনন্দ জোয়ারে। তার মধ্যেই টলিউডে জোড়া ধামাকা। আজ, মহা পঞ্চমীর দিন, ৩০ জানুয়ারি, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল দেব ও প্রসেনজিতের বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'কাছের মানুষ'। আর পুজোর মরসুমে হলে কেমন ভিড় হল দর্শকদের। সিনেমা দেখে কী প্রতিক্রিয়া অনুরাগীদের? সব জানতেই এবিপি লাইভ পৌঁছে গিয়েছিল নবীনা সিনেমাহলে।
'ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো'
প্রথম মোশন পোস্টার মুক্তির পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। এরপর একে একে ছবির টিজার, ট্রেলার, গান মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সেই আগ্রহ বাড়তে থাকে। এবার ৩০ সেপ্টেম্বর, ছবির 'অগ্নিপরীক্ষা'। প্রথম শো শুরুর আগে হলের সামনে পৌঁছে দেখা গেল, অনুরাগীদের ভিড় ও উন্মাদনার অন্ত নেই। কেউ দেবের ছবির প্রথম শো মিস করেন না তো কেউ বুম্বা দার 'ডাই হার্ড' ফ্যান। ফলে পুজোর মরসুমেও ঠাকুর দেখা খানিকক্ষণের জন্য থামিয়ে প্রেক্ষাগৃহ হাউসফুল করতে হাজির তাঁরা।
এক দর্শকের কথায়, 'পুজোয় বাংলা ছবি মাস্ট। আর দেব এখন যেরকম অন্য ঘরানার ছবি তৈরি করছেন তা সত্যিই নজর কাড়ার মতো। ফলে ঠাকুর দেখার মাঝেই সিনেমা দেখতেই হবে।' এক বয়স্ক দম্পতি যেমন দেবের কোনও ছবিই প্রেক্ষাগৃহে মিস করেন না। তাঁরাও হাজির। ঝাঁ চকচকে সাজে, নিজেদের 'কাছের মানুষ'দের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন অনেকেই।
ছবির হাফ টাইমে অনেকেই নিজেদের সিট ছেড়ে ওঠার চেষ্টাই করেননি। তাঁদের মতে একটুও মিস করা যাবে না ছবিটি। অন্যদিকে যাঁদের পাওয়া গেল, তাঁদের মতে, 'এমন জায়গায় ছবিটার ইন্টারভ্যাল হয়েছে যেটা খুবই অসাধারণ। পরের অংশের জন্য মুখিয়ে আছি।'
ছবি দেখার পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কীরকম?
'দেব-প্রসেনজিৎ দুজনকেই ১০০-এ ১০০। দুর্দান্ত ছবি। এমন বার্তা সকলকে দেওয়া প্রয়োজন।' সিনেমা দেখে বেরিয়ে ৮ থেকে ৮০ সকলেরই এটাই প্রথম প্রতিক্রিয়া। এক যুবকের কথায়, 'আত্মহত্যা যে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না সেই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছনো খুবই প্রয়োজনীয়। সকল বয়সের মানুষের জন্য এই ছবি দেখা জরুরি।' অপর এক দর্শককে খানিক আবেগঘন শোনাল। তাঁর কথায়, 'আমার বাবা আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু আমি জানি এটা কোনও সমাধান নয়। ছবিটা সকলের দেখা উচিত।'
প্রায় আড়াই ঘণ্টার সিনেমা শেষে সকলের মতে এই ছবি একবার নয়, বারবার হলে এসেই দেখা উচিত। প্রথম দিনের পরীক্ষায় পাস করে গেছে দেব-প্রসেনজিতের 'কাছের মানুষ'। এবার দেখার বক্স অফিসে কেমন ফল করে।