কলকাতা: বর্ষার দুপুরে তখন ক্যামেরার ফ্রেম সেট আর অপেক্ষা, দুইই চলছে। বৃষ্টি না হলেও মেঘলা হয়ে রয়েছে কাচের বাইরের আকাশ। খুব বেশ অপেক্ষা করতে হল না। শ্যাওলারঙা টি-শার্ট পরে হাজির হলেন নায়ক, সঙ্গে নায়িকাও। এক কাপ করে ক্যাপুচিনো আর একটা ইনস্টাগ্রাম লাইভ শেষে শুরু করা গেল আড্ডা। প্রত্যেক ছবিতে নিজেকে ভাঙছেন তিনি, আরও এক ধাপ করে পরিণতও হচ্ছেন। এবিপি লাইভের আড্ডায় পর্দার ব্যোমকেশ থুড়ি দেব যেন আরও বুদ্ধিদীপ্ত, পরিণত, গভীর।
ব্যোমকেশের পোস্টার, টিজার, ট্রেলার দর্শকদের সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। যে নতুন চ্যালেঞ্জ দেব নিয়েছেন, তার জন্য প্রশংসার পাশাপাশি ট্রোলিংও করা হয়েছে যথেষ্ট। অনুরাগীদের সংখ্যা বেশি হলেও, দেবকে কি অন্যান্য অভিনেতার চেয়ে একটু বেশিই ট্রোলিং সহ্য করতে হয়? পর্দার ব্যোমকেশ বলছেন, 'যে গাছে বেশি ফল থাকে, মানুষ তো তাতেই ঢিল ছোঁড়ে। যে গাছে কাঁটা থাকে, সেই গাছের দিকে তো আমরা তাকাই ও না। যে গাছে ফল থাকে আমরা চেষ্টা করি সেই ফলটা কীভাবে নামানো যায়, খাওয়া যায়। ট্রোলিং তো সেটাই। কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা। কেউ ভাঙার চেষ্টায় ট্রোল করে.. আরও কত কি। তবে আমি ট্রোলড হতে চাই, কারণ আমি আমার পরিশ্রমের গাছটাকে আরও শক্ত করতে চাই। সেই গাছের শিকড়টা এত শক্ত হোক যাতে বাংলা শুধু নয়, পৃথিবীর সবাই যেন এক ছত্রছায়ায় আসতে পারে। আর এমন গাছ হতে হলে আরও ফল দিতে হবে অর্থাৎ আরও ভাল কাজ করতে হবে। আর হ্যাঁ, যে গাছে ফল হয়, সেই গাছকে একটু ঝুঁকেই থাকতে হয়। আমার এখন আর ট্রোলিং গায়ে লাগে না। ভগবানের আশীর্বাদে আমার কাজটা যে জায়গায় গিয়েছে যেখানে সবাই কাছে আসতে চায়, পাশে থাকতে চায়.. ট্রোলও করতে চায় যাতে আমার নজরে আসে। আমায় এই মানুষগুলো কোথাও না কোথাও উদ্বুদ্ধও করেন। আমার মনে হয়, যে মানুষটা আমায় অপছন্দ করেন, তাঁকে আমায় পছন্দ করাতে হবে। এই চ্যালেঞ্জটা নিতে আমার ভালই লাগে।'
ব্যোমকেশ দেবের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল নিঃসন্দেহে। সেটা কী শিখিয়ে গেল দেবকে? স্বভাবজাত হেসে দেব বললেন, 'সেন্সর বোর্ডে আমার এক পরিচিত রয়েছেন। ফলে ওঁর ছবিটা দেখা হয়ে গিয়েছে আগেই। যখন এত ট্রোলিং নিয়ে কথা হচ্ছে, ও আমায় বলেছিল, 'শোন.. কয়লাকে ভীষণ চাপে রাখলে, তবেই হিরেটা তৈরি হয়। হিরে হতে গেলে অনেক কিছু সইতে হবে।' সেই কথাটা আমার ভীষণ ভাল লেগেছিল।'