কলকাতা: নিজের নাচের স্কুল আর শ্বশুরবাড়ি, দু জায়গাতেই ধুমধাম করে লক্ষ্মীপুজো হয়। সকাল থেকেই ব্যস্ততা চলছে দেবলীনা কুমার (Devleena Kumar)-এর। নাচের স্কুলে তাঁর সব ছাত্রীরা মিলে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজনে ব্যস্ত। অন্যদিকে দেবলীনা এখন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বৌমাও। নিয়মমাফিক গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুজোয় বসতে হয় তাঁকে। দুই বাড়ির পুজো সামলাতে দেবলীনা এদিন এক্কেবারে গিন্নি। নিজের হাতে এই দিনটা সমস্তকিছুই সামলান অভিনেত্রী।
কেমন করে কাটছে দেবলীনার পুজোর দিনটা? জানতে অভিনেত্রীর নাচের স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিল এবিপি আনন্দ। দেবলীনা বললেন, 'আমার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব ৫ মিনিট। পুজোর দিনে দুই বাড়ির মধ্যে প্রায় ৫০ বার যাতায়াত করি। গতকাল কার্নিভ্যাল শেষ করে বাড়িতে এসে পায়েস রান্না করেছি, ঠাকুর এনেছি। ঠাকুরকে শাড়ি পরিয়েছি। তারপর আবার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে প্রতিমাকে বরণ করেছি। এটাই আমার শ্বশুরবাড়ির রীতি।'
আরও পড়ুন: KBC 14: স্ত্রী জয়ার কোন কথায় 'কেবিসি'র মঞ্চে কেঁদে ফেললেন অমিতাভ বচ্চন?
আজ সকালে অবশ্য একটা বাড়তি দায়িত্ব পালন করেছেন দেবলীনা। অন্যান্য বছর সেটা করতে হয় না। অভিনেত্রী বলছেন, 'আমার যাবতীয় রীতিনীতি পালন করতে বেশ ভালো লাগে। আমার শ্বশুরবাড়ির নিয়ম হল, যে ঘট প্রতিস্থাপন করা হবে, সেই ঘটের জল গঙ্গা থেকে নিয়ে আসতে হয়। এইবছর আমার শ্বাশুড়ি আমার থেকে জানতে চেয়েছিলেন, আমি যাব কি না। এককথায় রাজি হয়ে যাই। নিজের হাতে জল ভরে নিয়ে এসেছি।'
কোজাগরী কথার অর্থ, কে জাগরী বা কে জাগে রে। রীতি মেনে এই পুজোর দিনে সারারাত জেগে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হয়। তাতেই নাকি বাড়িতে আসেন মা লক্ষ্মী। দেবলীনা বলছেন, 'রীতি মেনে আমরা কোজাগরীর দিন সারা রাত জাগি। আমার শ্যুটিং ছিল সেটা বাতিল করে দিয়েছি। দুর্গাপুজোর পরে আমাদের মন খারাপ কমিয়ে দেল লক্ষ্মীপুজো।'