মুম্বই: গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। বিরানব্বই বছর বয়সে অগণিত অনুরাগীর মন ভারাক্রান্ত করে অন্য সুরলোকে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সুর সম্রাজ্ঞীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সচিন তেণ্ডুলকর, শাহরুখ খান, আমির খান, রণবীর কপূর, রাজ ঠাকরে এবং আরও অনেক বিশিষ্ট মানুষ। লতা মঙ্গেশকরের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন অমিতাভ বচ্চন। কিন্তু কোথাও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra)। কেন তিনি বর্ষীয়ান গায়িকার শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকেননি? অবশেষে জানা গেল আসল কারণ।


লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল ধর্মেন্দ্রর। জানা যায়, বিভিন্ন সময় তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হত এবং দেখা সাক্ষাতও হত। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের পর তাঁকে নিয়ে বিশেষ পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যায় ধর্মেন্দ্রকে। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে কোকিলকণ্ঠীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা। ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'গোটা বিশ্ব আর দুঃখিত। বিশ্বাসই করা যাচ্ছে না যে আপনি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আমরা আপনাকে খুব মিস করব লতা জি। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।'



আরও পড়ুন - Sameera Reddy: কী গোপন পদ্ধতিতে ১১ কেজি ওজন কমালেন সমীরা রেড্ডি?


এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র জানান যে, লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বর্ষীয়ান গায়িকার প্রয়াণে তিনি মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে যাওয়ার জন্য তিনি তিনবার তৈরি হয়েছিলেন। কিন্তু কোনওভাবেই সেখানে যাওয়ার জন্য মনোবল জুগিয়ে উঠতে পারেননি। তাই অনেকবার চেষ্টা করেও সেখানে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি।


প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। সঙ্গে ছিল নিউমোনিয়ার সমস্যাও। মাঝে সুস্থতার লক্ষণ দেখা গেলেও শেষ রক্ষা হল না। মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে বিরানব্বই বছর বয়সে প্রয়াত হলেন কোকিলকণ্ঠী।