নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) তরফে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে (Director Vivek Agnihotri)। হাইকোর্টের একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তাঁর মন্তব্য সম্পর্কিত একটি ফৌজদারি অবমাননার মামলার (criminal contempt case) ব্যাপারে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়।
দিল্লি হাইকোর্টে ডেকে পাঠানো হল বিবেক অগ্নিহোত্রীকে
হাইকোর্ট পরিচালকের মন্তব্যের জন্য একটি হলফনামার মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলে এবং তারপর তাঁকে হাজিরা দিতে বলে। জাস্টিস সিদ্ধার্থ মৃদুল ও তলবন্ত সিংহের বেঞ্চ প্রশ্ন করে আদালতে সশরীরে এসে ক্ষমা চাইতে কি বিবেক অগ্নিহোত্রীর কোনও সমস্যা আছে? 'আমরা ওঁকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলছি কারণ অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। কোর্টের সামনে আসতে কি কোনও সমস্যা আছে ওঁর? ওঁকে উপস্থিত থেকে সশরীরে ক্ষমা চাইতে হবে।'
পরিচালকের আইনজীবীকে বেঞ্চের প্রশ্ন, 'সশরীরে এসে ক্ষমা চাইতে কোনও অসুবিধা আছে ওঁর? সবসময় দুঃখপ্রকাশ তো হলফনামার মাধ্যমে হয় না।'
চলচ্চিত্র নির্মাতা একটি হলফনামায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন, সেটি বিবেক অগ্নিহোত্রীর আইনজীবী দাখিল করেছেন আদালতে। সেখানে পরিচালক বলেছেন যে তিনি নিজেই বিচারকের বিরুদ্ধে তাঁর ট্যুইটগুলি মুছে ফেলেছেন। তবে আদালতে তরফে দাবি করা হচ্ছে যে ওই ট্যুইটগুলি ট্যুইটারের তরফে মোছা হয়েছে। বিবেক অগ্নিহোত্রীর আইনজীবীকে বিচারকদের বেঞ্চ বলেছে, 'পরিচালক আদালতে উপস্থিত হলে তাঁর সামনে এই সব দাখিল করতে হবে'। ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ বিবেক অগ্নিহোত্রীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Kavita Banerjee: হিন্দি ধারাবাহিক 'ভাগ্য লক্ষ্মী'তে এবার বঙ্গকন্যা কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিযোগ ২০১৮ সালে, বিবেক অগ্নিহোত্রী দিল্লি হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারক ও অধুনা ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস এস মুরলীধরের বিরুদ্ধে ট্যুইটে মন্তব্য করেন। সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাজশেখর রাওয়ের থেকে চিঠি পেয়ে তদন্ত শুরু করে আদালত।