দোহা: বিশ্বকাপের (FIFA WC 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনোর লক্ষ্যে স্যুইৎজারল্যান্ড ও পর্তুগাল (Portugal vs Switzerland) শেষ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে একে অপরের মুখোমুথি হবে। ইতিহাসের পাতা উল্টোলে দুই দলের মধ্যে ফেভারিট বেছে নেওয়াটা ভীষণই কঠিন। এবছরের দুই পূর্ব সাক্ষাৎকারে উভয় দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে। আবার এই শতকে ছয়বার মুখোমুখি হয়েও উভয় দলই তিনটি করে ম্যাচ জিতেছে। তাই লুসেইল স্টেডিয়ামে এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখার প্রত্যাশায় সমর্থকরা।


ঝাকার বিশ্বাস


পর্তুগাল দলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো মহাতারকা থাকলেও, সুইস অধিনায়ক গ্রানিট জাকার (Granit Xhaka) দাবি পর্তুগিজ দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানানোর দক্ষতা তাঁর দলের আছে। ম্যাচের আগে জাকা বলেন, 'আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বহুবার পর্তুগালের মুখোমুথি হয়েছি। ওর প্রতিআক্রমণে ভয়ঙ্কর। আমরা নিজেরাই তো লিসবনে নেশনস লিগের ম্যাচে এর শিকার হয়েছিলাম। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে আমাদের সম্পূর্ণ একাগ্রতা বজায় রাখতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনওরকম ভুল ভ্রান্তি না হয়। যদি আমরা সেটা করতে পারি, তাহলে আমি নিশ্চিত আমাদের দল ওঁদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারবে।'


রোনাল্ডোর-স্যান্টোস ঝামেলা


কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৬৫ মিনিটে রোনাল্ডোকে মাঠ থেকে তুলে নেন স্যান্টোস। এরপরেই রোনাল্ডোর প্রতিক্রিয়ায় বেজায় চটেছেন পর্তুগিজ কোচ। এমনকী স্যুইৎজারল্যান্ড বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে রোনাল্ডো আদৌ দলে সুযোগ পাবেন কি না, সেই বিষয়েও স্পষ্টভাবে কিছু বলতে চাননি স্যান্টোস। রোনাল্ডোকে উক্ত ম্যাচে মাঠ ছাড়ার সময় বলতে শোনা যায়, 'ওঁ (স্যান্টোস) আমায় যত দ্রুত সম্ভব মাঠ থেকে তুলে নিতে আগ্রহী ছিলেন।' এই ঘটনার বিষয়ে অবশ্য মাঠে কিছুই বুঝতে পারেননি বলে স্বীকার করেন স্যান্টোস।


অবশ্য পরে তিনি ওই ঘটনার ফুটেজ দেখেন এবং সেটা যে তাঁর একেবারেই পছন্দ, তা সোজা ভাষায় জানিয়ে দেন স্যান্টোস। 'আমি পরবর্তী ওই ঘটনার ফুটেজটা দেখি এবং যেটা দেখি, সেটা আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি। এইসব জিনিসপত্রগুলি এরপর নিজেদের মধ্যে কথা বলে ঠিক করে নেওয়া উচিত। সেইভাবেই গোটা বিষয়টা সামলানো হয় এবং এখন আমাদের নজর কালকের ম্যাচের দিকে। সবাই ম্যাচ নিয়েই চিন্তিত।' বলেন স্যান্টোস। দল নির্বাচনের বিষয়ে তিনি আরও জানান, 'আমি কেবল সাজঘরেই আগেভাগে দলের খেলোয়াড়দের বলি কারা কোন ম্যাচ খেলবে। বাকিরা মাঠে গিয়ে সবটা জানতে পারে। আমার সময়কালে শুরু থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। আমার যাদের মনে দলে খেলানোর কথা মনে হবে, তাদেরই সুযোগ দেব।'  


আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা গর্বের, চাপের নয়, মত ব্রুনো ফার্নান্ডেজের