কলকাতা: মহানবমীর দিনে অন্নকূট অনুষ্ঠান। সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র-এর কাছে এটাই ছেলেবেলার দুর্গাপুজোর সবচেয়ে পছন্দের মুহূর্ত। ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি ঘাঁটতে গিয়ে প্রথমেই অন্নকূটের কথাই মনে পড়ে তাঁর। জানান, অদ্ভূত এক আকর্ষণ অনুভব করতেন এই অনুষ্ঠানটার প্রতি। এবিপি লাইভের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন ছেলেবেলার আরও বেশ কিছু স্মৃতি।


'একদিকে নবমীর দিন, মায়ের চলে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে, অন্যদিকে অন্নকূটের মিষ্টি, পোলাও দিয়ে বিরাট করে প্রসাদের আয়োজন করা হচ্ছে। এতজন মিলে একসঙ্গে ওই যে প্রসাদের আয়োজন করছে, সেটাই আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় ছিল। পরে বড় হয়ে জেনেছি কী হয়, কেন হয়, কিন্তু ছোট বয়সে ওই গোটা ব্যাপারটা খুব এক্সাইটিং লাগত,' বলছেন লোপামুদ্রা।


গায়িকার ছেলেবেলার পুজোর আরও একটা আকর্ষণ ছিল উত্তর কলকাতার পুজোমণ্ডপ। 'অষ্টমীর দিন বা নবমীর দিন সকালবেলা বাবা আমাদের ট্যাক্সি করে উত্তর কলকাতার ঠাকুর দেখতে নিয়ে যেতেন। সেখানে কিছু মণ্ডপে ওপরে ঠাকুর হত, আর নিচ দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারতেন। ছোটবেলায় ওটাও খুব অবাক করা লাগত,' হেসে বলেন লোপামুদ্রা।


'ওকে আজ চলে যেতে বল না, ললিতা' গানটা শুনলে এখনও ছেলেবেলার পুজোর কথা মনে পড়ে। তিনি জানান, সেই সময়ে তাঁর বাড়িতে আধুনিক গানের চর্চা বিশেষ ছিল না, রবীন্দ্রসঙ্গীতই বেশি চলত। 'তখন তো চোঙা মাইক্রোফোনে গান বাজত। কোনও একটা বছর পুজোয় মনে আছে বারবার আমি পুজো মণ্ডপের কাছে যাচ্ছিলাম গানের কথাগুলো ঠিক করে শোনার জন্য। আমি ছোট থেকেই তো দুষ্টু ছিলাম। তখন এই গানটা শুনে মনে একটা বড় প্রশ্ন ছিল যে গানটা একজন ছেলে গাইছে কেন। "ও সখী অন্য ঘাটে চল না" এটা কেন একজন ছেলে বলছে, এই প্রশ্নটা খুব আসত মনে,' বলতে বলতে হেসে ফেলেন লোপামুদ্রা। যদিও ছোটবেলায় এতই দুরন্ত ছিলেন যে পুজোয় প্রেম ব্যাপারটাই আসেনি তাঁর জীবনে। 


এখন কাজের চাপে কতটা মিস করেন কলকাতার পুজো? 'আমি পুজোতে শো করতে খুব ভালবাসি। শো থাকা মানে আমি তো একা নই, আমাদের গোটা দল একসঙ্গে থাকি। হ্যাঁ পরের দিকে জয়কে (জয় সরকার) অবশ্যই মিস করেছি। কিন্তু আমি কাজ করতে সবসময়েই বেশি ভালবাসি, তাই সেই ভাবে শোয়ের জন্য পুজো কখনও মিস করিনি।'


যদিও গত দুই বছর করোনা অতিমারীতে কাজ বা শো তেমন নেই। তাই এবার তিনি চাইছেন বাড়ি বসে না থেকে সব স্বাভাবিক হয়ে কাজ শুরু হোক। 


আরও পড়ুন: 'সুন্দরী মেয়ে ভোগ খেতে এলে খিচুড়ি পরিবেশন নিয়ে প্রতিযোগিতা চলত'