সুনীত হালদার, হাওড়া: গতকাল সন্ধে থেকে নিখোঁজ এক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হল। রবিবার সকালে ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্স এর তিন নম্বর গেটের ভিতরে এক নির্জন জায়গায় রামবালক চৌধুরী (৪৬) নামে ওই শ্রমিকের রক্তাক্ত মৃতদেহ নালার ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ডোমজুড় থানায় খবর দিলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। মৃতের বাড়ির লোকের অভিযোগ গতকাল রাতের পর সেই শ্রমিককে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরই আজ সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। মৃতের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই দেখে বাড়ির এবং এলাকার লোকের সন্দেহ তাকে বাইরে কোথাও খুন করে ওখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন তিনি আদতে বিহারের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ওই এলাকার একটি কারখানায় কাজ করতেন।
এদিকে রাজ্যের অন্য প্রান্তে গত শুক্রবার পুরুলিয়ার বরাবাজারের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে হাসপাতালের কর্মী ও এলাকাবাসী থানায় খবর দিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তালাবন্ধ কোয়ার্টার থেকে মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। আত্মঘাতী হয়েছেন না পরিকল্পিত খুন, চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন সুচিত্রা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া কোয়ার্টারেই থাকতেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই কোয়ার্টারের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়।
এ বিষয়ে পুরুলিয়া মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল দত্ত বলেন, "এদিন বরাবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছ থেকে জানতে পারি ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সুচিত্রা সিং এর মৃতদেহ হাসপাতাল কোয়াটার থেকে উদ্ধার হয়েছে। ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা প্রথম বিষয়টি বারাবাজার থানায় জানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।"