অতসী মুখোপাধ্যায়, মুম্বই : মুম্বইয়ের (Mumbai) ভারসোভায় ডি এন নগরের দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://bengali.abplive.com/district/tollywood-actor-ranjit-mallcik-celebrates-durga-puja-2022-with-grandson-kabir-and-daughter-koel-mallick-924886" data-type="interlinkingkeywords">পুজোয় হাজির ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলেও প্রতিবছর পুজোয় একদিনের জন্য যে মণ্ডপে হাজির হন তিনি। নবমীর দিন পুজো দিয়ে ভোগও খান তিনি। কলকাতায় পুজো আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মাঝে মুম্বইয়েও কেন প্রত্যেকবার উড়ে যাওয়া ? কেমন কাটছে ঋতুপর্ণার পুজো, সবমিলিয়ে পুজোর মাঝেই আড্ডায় মেতে ওঠেন তিনি।
'খারাপ দিন কাটিয়ে উৎসবে সামিল'
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেছেন, 'মুম্বইয়ের এই পুজোটা আমার কাছে স্পেশাল। আগে বড় করে প্যাভিলিয়ান তৈরি করে অমিতজি, জয়াজি-র সঙ্গে একসঙ্গে অঞ্জলিও দিয়েছি এখানে। কলকাতার পুজোর মতোই মুম্বইয়ের পুজোও আমার কাছে স্পেশাল। গত দু'বছর সবারই খুব খারাপ কেটেছে। কত মানুষকে হারিয়েছি আমরা। গতবছরই পুজোর সময় বাপি-দার (বাপ্পি লাহিড়ি) সঙ্গে গানের অ্যালবাম রিলিজ করেছিলাম, এবারে তিনি নেই। সেই কথাগুলো মনে পড়লে মনটা ভারী হয়ে যায়। খারাপ দিনগুলো কাটিয়ে উৎসবে সামিল সকলে। প্রার্থনা যেন খারাপ দিন কেটে যায়।' মুম্বইয়ের পুজো কাটিয়ে নবমীর রাতেই কলকাতা ফিরে আসবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। মহাষ্টমীতে সুরুচি সঙ্ঘে ঢাকের তালেং কোমর নাচিয়ে উৎসবের মেজাজ মাতিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী।
রানির সঙ্গে আড্ডা
নর্থ বোম্বে সর্বজনীনের পুজোয় এবারও চাঁদের হাট। নিজের হাতে সবাইকে ভোগ খাওয়ালেন রানি মুখোপাধ্যায় (Rani Mukherjee)। সবার সঙ্গে বসে ভোগ খেলেন অলকা ইয়াগনিক সহ অন্যান্য অতিথিরা। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও এদিন যান এই পুজোয়। বেশ খানিক্ষণ আড্ডা মারেন রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
মহানবমীতে মধ্যগগনে উৎসব
আজ মহানবমী। হোমাগ্নিতে দেবীর স্তুতি। কোথাও হোম, কোথাও ফল বলি। পুজো শুরুর সময় যেমন সঙ্কল্প, তেমনই পুজো শেষের প্রক্রিয়া দক্ষিণান্ত। নানা উপাচারে দেবীর আরাধনা। নবমীতেও হল কুমারী পুজো। এরই মাঝে বাঙালির প্রাণের উত্সবে বিষাদের সুর। কাতর প্রার্থনা, না পোহায় যেন নবমী নিশি৷ করোনা-উদ্বেগকে পিছনে ফেলে এবার মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেছে মানুষ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে চলছে দল বেঁধে ঠাকুর দেখা। এরই মাঝে প্রতিবারের মতো মাকে আরও কিছুদিন রেখে দেওয়ার বাসনা নিয়েই বিসর্জনের প্রহর গোনা শুরু।