কলকাতা: সারাবছর মুম্বই আর কলকাতা যাতায়াত লেগে থাকলেও, পুজোর সময়টা তিলোত্তমাতেই থাকা পছন্দ তাঁর। অন্যান্য সময় ব্যস্ততা থাকলেও, পুজোর সময়টা পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে ভালবাসেন। বাড়িতে খাওয়াদাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব আর নিছক বাঙালিয়ানা.. এটাই যীশু সেনগুপ্তের (Jisshu U Sengupta) পুজো।
আর ১ মাসও বাকি নেই পুজোর। এইবছর যীশুর শারদীয়া পরিকল্পনার তালিকায় কী কী রয়েছে? অভিনেতা বলছেন, 'পুজোটা আমার কলকাতায় কাটানোই পছন্দ। ছোট থেকেই ওই নতুন জামা পরে বেরনো, সকালে অঞ্জলি.. এটা দেখেই বড় হয়েছি। তবে গতবার পুজোয় শ্যুটিং চলছিল। অষ্টমীর দিন বাড়ি ফিরেছিলাম অর্ধেক পুজো কাটিয়েই। অষ্টমীর অঞ্জলিটা আসলে আমার প্রত্যেক বছর মাস্ট।'
পুজো মানেই নতুন পোশাক। অভিনেতার বাড়িতে এখনও সেই নিয়মের চল রয়েছে? হেসে ফেলে যীশু বললেন, 'সারাবছরই এত পোশাক কেনা হয় যে আলাদা করে পুজো বলে আর উন্মদনাটা থাকে না। তবে প্রত্যেক বছর অষ্টমীতে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য নীলাঞ্জনা আমার জন্য ধুতি-পাঞ্জাবি কেনে। আমি বারণই করি। বছরে ওই একটাদিন ছাড়া আর তো ধুতি পরা হয় না। আমি বলি, আগের বছরেরটাই পরে নেব, নতুনের কী দরকার। তবে ওই যে... নতুন পোশাক পরে অঞ্জলি দিতে যাওয়াটা অভ্যাস।'
অভিনেতার নাকি সবচেয়ে পছন্দ শর্টস আর টি-শার্ট। তবে দুই মেয়ে রয়েছে তাঁদের। সারা ও জারা। সারা আবার ইতিমধ্যেই পা রেখেছে সিনে দুনিয়ায়। হেঁটেছে একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্র্যান্ডের মার্জার সরণীতেও। তাঁদের পুজোর কেনাকাটা দায়িত্ব কার ওপর থাকে? যীশু বলছেন, 'এটা আমি আর নীলাঞ্জনা ভাগাভাগি করে নিই। আমি সময় পেলে দুই মেয়েকে নিয়ে একটু শপিং করে আসি। তখন যেমন কয়েকটা দিনের ছুটিতে কলকাতা এসেছিলাম। তাই সারা আর জারাকে নিয়ে একদিন বেরিয়েছিলাম। আবার আমি না থাকলে নীলাঞ্জনার সঙ্গেও যায় ওরা। এবার পুজোয় ইচ্ছা আছে আমরা ৪ জন একটু বাইরে ঘুরতে যাব। অনেকদিন কোথাও যাওয়া হয়নি। তবে কবে, কোথায়, কীভাবে যাব.. সে সব এখন বিশ বাঁও জলে। কিছুই পরিকল্পনা করা হয়নি।'
পুজোয় যীশুর ছবি মুক্তি রয়েছে, সেইদিকেও কিছুটা সময় দিতে হবে অভিনেতাকে। বাকি সময়টা যীশু পুজোয় এক্কেবারে কলকাতার ছেলে। কে বলবে.. বলিউড থেকে শুরু করে টলিউড, সব ইন্ডাস্ট্রিতেই রাজত্ব করছেন তিনি।