কলকাতা: নায়িকার পুজো মানেই নিয়ম ভাঙার টিকিট। ষষ্ঠীর পর থেকে কেউ নাকি কাজ করাতে পারেনি তাঁকে। পুজো মানে এই নায়িকার কাছে পরিবার, বন্ধুরা আর খাওয়া-দাওয়ার নিয়ম না মানা। এবার পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি। প্রচারের ফাঁকেই পুজো-পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন নায়িকা। সেই তালিকায় রয়েছে কী কী? এবিপি লাইভকে (ABP Live) জানালেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। 


ফ্যাশন থেকে খাওয়া-দাওয়া.. এবার পুজোয় মিমির আনন্দ করার তালিকায় থাকছে কী কী? এবিপি লাইভকে মিমি বলছেন, 'পৃথিবীর কোনও শক্তিই আমায় ষষ্ঠীর পরে কাজ করাতে পারত না। পুজোর কয়েকটা দিন আমি মায়ের মণ্ডপে এক্কেবারে আঠার মতো লেগে থাকি। বাড়ি ছাড়া আর কোথাও যাই না আমি। খাওয়া-দাওয়া, বন্ধুবান্ধব, পরিবার আর কোনও নিয়ম নেই, টাইম টেবিল নেই। ধুনুচি নাচ, ঢাক বাজানো, যা ইচ্ছা খাওয়া... এটাই আমার পুজো।'


পুজোয় কোন পোশাক আর খাবারটা না হলেই নয়? মিমি বলছেন, 'পুজোর অষ্টমীতে বেনারসী কাঞ্জিভরম আর পুরনো ধাঁচের বাঙালি গয়না পরাটা মাস্ট। ওটা পরেই অঞ্জলি দিই। আর হ্যাঁ.. ধুনুচি নাচ. ঢাক বাজানো আর আমার বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে নবমীর আড্ডা.. এগুলো না হলে পুজো জমে না। খাওয়া-দাওয়ার কথা বললে, আমি এখন নিরামিষাসী। যখন আমিষ খেতাম, তখন পুজো মানেই মেনুতে থাকত পোলাও আর মাংস। এখন নিরামিষ খাই তাই মাংসের জায়গায় পোলাও আলুরদম।'


এইটুকু বলে একটু থামলেন মিমি, তারপর হেসে ফেলে বললেন.. 'আর একটা খাবার আমি ভীষণ ভালবাসি, তবে জানি না সবার সামনে এটা বললে মানুষ আমায় কী ভাববে! সেটা হল, আলুর তরকারি, লুচি আর রসগোল্লার রস... সবাই জানে আমি মিষ্টি ভীষণ ভালবাসি। আর পুজোর সময় লুচি, তরকারি ওই রসগোল্লার রস দিয়ে মেখে... পুরো ওই ব্যাপারটা দারুণ লাগে আমার। সারাবছর মিষ্টি খেতে পারি না বলে কান্না পায় মাঝে মাঝে। মনে হয় ৫টা মিষ্টি খেয়ে নিই একসঙ্গে.. কিন্তু তারপরে ওয়ার্কআউটের কথা ভাবলেই....। তবে পুজোর সময় আমি এসব কিচ্ছু মেনে চলি না। জলখাবার, দুপুর-রাতের খাবার.. ৩ বেলাই মিষ্টি খাই। মাকে কেবল বলি.. 'মা দুর্গা.. তোমার পুজোয় খেয়ে নিচ্ছি, বাকিটা তুমি দেখে নিও।'


মিমির শাড়ির কালেকসন দারুণ। কিন্তু কখনও কি মায়ের শাড়ি পরে পুজো কাটিয়েছেন? অভিনেত্রী বলছেন.. মায়ের শাড়ি পরেই তো অর্ধেক জীবন কেটে গেল আমার। তখন সদ্য সদ্য ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। মাস মাইনে হিসেবে টাকা পেতাম। পুজোর সময় অবধারিতভাবে দেখতাম সব টাকা শেষ। তখন আবার পুজো পরিক্রমা হত। ব্যাস.. নিজের টি-শার্ট একটু গুটিয়ে নিয়ে, তার ওপর মায়ের শাড়ি পরেই পুজো পরিক্রমা করেছি কত। এখনও মায়ের শাড়ি দেখলেই লোভ হয়। সেদিন মায়ের আলমারি গোছাতে গোছাতে দেখলাম.. সবই পছন্দ হয়ে যাচ্ছে..'


এবার পুজো তাহলে মিমির স্টাইল স্টেটমেন্ট কী? ঠোঁট উল্টে মিমি বললেন.. 'ধ্যুস.. সব্বাইকে উপহার দিয়ে ফেলেছি তবে আমার নিজের এখনও শপিংই করা হয়নি।'


আরও পড়ুন: Ambarish Bhattacharya on Durga Puja: দেশের বাইরে থাকলেও আমি পুজোর গন্ধ পাই: অম্বরীশ