কলকাতা: ওহ চলি ওহ চলি দেখো পেয়ার কী গলি, নব্বইয়ের দশকের এই গানেই লুকিয়ে আছে নস্ট্যালজিয়া। এই গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সেই সময়ের প্রেমের কাহিনি। সেই স্মৃতি উস্কে এবার নাচের তালে পা মেলাল বর্ষীয়ান দম্পতি। তিলোত্তমার একটি নামজাদা রেস্তোরাঁতে নাচের ছন্দে মাতলেন তাঁরা। আর এই ভিডিও দেখে প্রেমে ভাসছে নেটপাড়া।


কলকাতার জনপ্রিয় ব্যান্ড দ্য গ্রুভারস। নামজাদা ওই রেস্তোরাঁতে সেদিন শো ছিল তাদের। সেখানেই ওহ চলি ওহ চলি দেখো পেয়ার কী গলি গানটি করে তারা। নতুন প্রজন্মের কন্ঠে পুরনো গান শুনে নস্ট্যালজিয়ায় মাতেন বৃদ্ধ-বৃ্দ্ধা। গানের তালে তালে পা মেলান দুজনে। ইতিমধ্যেই তাঁদের এই নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

ঘটনা ২২ জানুয়ারি রাতের। মমতা শর্মা দাস নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রথম এই ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে,  গান শুরু হতেই নাচের ছন্দে মেতে ওঠেন বৃদ্ধ দম্পতি। আর তাঁদের এই উৎসাহ দেখে উচ্ছ্বাস দেখা যায় সেখানে উপস্থিত বাকিদের মধ্যেও। ওই ভিডিও পোস্ট করে মমতা ক্যাপশনে লিখেছেন, গতকাল রাতে কলকাতায়। ব্যান্ড নব্বইয়ের দশকের ইন্ডি পপ বাজায় এবং গান করে। আমার স্কুল জীবনে নিয়ে গিয়েছে এই গান। সঙ্গ ঠিক থাকলে নস্টালজিয়ায় ফিরে যাওয়া যায়। ব্যান্ডের  লিড ভোকালিস্টের বাবা মা ওঁরা। উল্লেখ্য ব্যান্ডের লিড সিঙ্গার কৌস্তভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা মা তাঁরা।

এই ডিডিও শেয়ার করার পরই তা ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। কেউ লিখেছেন, শাড়ি পরে মহিলার নাচ সত্যিই প্রশংসনীয়। চিয়ার্স টু কলকাতা। কেউ আবার লিখেছেন, এটা খুব সুন্দর একটা বিষয় যে তাঁরা নিজেদের জন্য নাচ করছেন। ওই মুহূর্তে বাঁচছেন তাঁরা। এক নেটিজেনের কথায়, এখানে শাড়ি পরে নাচের থেকেও আরও বেশি কিছু লক্ষ করার আছে। রেস্ট্রোবারে গান করা যথেষ্ট সম্মানের। বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে ভারতীয় সমাজের বাবা মায়েরা যা এখন সমর্থন করছেন। প্রায় ৮ লক্ষ নেটিজেন এই ভিডিও দেখেছেন। ২৫ হাজারের বেশি লাইক এবং ১০ হাজার শেয়ার হয়েছে।