নয়াদিল্লি: বুধবার ৩০ বছর সম্পূর্ণ করলেন ‘হ্যারি পটার’ খ্যাত অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন। দিনভর শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসলেন তিনি।


পুরো নাম, এমা শার্লট ডিউয়ার ওয়াটসন। ১৯৯০ সালের ১৫ এপ্রিল জন্ম। বাবা-মা দুজনই নামী আইনজীবী। বিশ্বব্যাপী এমার খ্যাতি অবশ্য হ্যারি পটার সিনেমার হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রের জন্য। এমা যখন হ্যারি পটার সিরিজে প্রথম অভিনয় করেন, তাঁর বয়স তখন মাত্র ৯ বছর। সেই বয়সেই তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছিল।

স্কুলে পড়াকালীন নাটকের মঞ্চ দিয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি। এমা ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত হ্যারি পটার সিরিজের ছটি সিনেমায় অভিনয় করেন। ওই সিরিজে তাঁর সহঅভিনেতা ছিলেন ড্যানিয়েল র‌্যাডক্লিফ এবং রুপার্ট গ্রিন্ট। সিরিজের শেষ সিনেমা 'হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস'-এও অভিনয় করেছেন এমা। হ্যারি পটার সিরিজে অভিনয়ের জন্য একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পান তিনি।

হ্যারি পটার সিরিজ ছাড়াও ব্যালেট সুজ, দ্য টেল অব ডেসপ্যারক্সের মতো সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন এমা। ২০০৯ সালে মডেলিং জগতে প্রবেশ করেন। পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যান। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন এমা। ২০১৪ সালে তিনি স্নাতক হন।

১৯৯৯ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোনের শ্যুটিং শুরু হয়। ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিংয়ের জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনে এই সিনেমাটি নির্মিত হয়েছিল। নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ডের স্টেজকোচ থিয়েটার আর্টসের এক শিক্ষকের মাধ্যমে এমা ওয়াটসনের খোঁজ পায়। আটবার অডিশনের পর প্রযোজক ডেভিড হেম্যান বলেন যে, এমা এবং তার সহকর্মী অভিনেতা ড্যানিয়েল র‌্যাডক্লিফ এবং রুপার্ট গ্রিন্ট যথাক্রমে হারমায়োনি গ্রেঞ্জার, হ্যারি পটার ও রন উইজলি চরিত্রে অভিনয় করবেন। এক বছর পর এমা আবার হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটসে অভিনয় করেন। ২০০৪ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান মুক্তি পায়। ২০০৫ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার মুক্তি পায়। হ্যারি পটার সিরিজের পঞ্চম সিনেমা হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স ২০০৭ সালে মুক্তি পায়। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এমাকে।

২০১৪ সালে এমার সঙ্গে অক্সফোর্ডের রাগবি খেলোয়াড় ম্যাট জেনির সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। তবে সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। সে বছরই তাঁদের বিচ্ছেদের খবর পাওয়া যায়। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল যে, কাজের চাপ ও সময়ের অভাবেই তিনি সম্পর্ক টেনে নিয়ে যেতে পারেননি।

২০১৪ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ এমাকে শুভেচ্ছা দূত নির্বাচিত করে। সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা ও নারীদের সমানাধিকারের দাবিতে তিনি প্রচার করেন। এমা নারীশিক্ষার প্রসার ও অধিকার বিষয়ে কাজ করেছেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে এমা বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০জন প্রভাবশালীর তালিকার ২৬তম স্থান করে নিয়েছিলেন।