কলকাতা: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ছাড়া এক মুহূর্তও চলা দায়। প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। তা কোনও ছবির ক্ষেত্রেই হোক, বা কোনও তারকার নিজস্ব প্রচারই হোক। তারকা, প্রযোজনা সংস্থা তো বটেই, সাধারণ মানুষও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের জীবনের প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট শেয়ার করতে বেশ পছন্দ করেন। শুধু নিজেদের কাজই নয়, নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের টুকরো মুহূর্তও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন তারকারা। আর সেসব দেখতে মুখিয়ে থাকেন অনুরাগীরা। টলিউড (Tollywood) থেকে বলিউড (Bollywood)... প্রায় প্রত্যেক তারকাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে সক্রিয়। আমরা প্রতিদিন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব সেই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে, যা নজর কাড়ল আলাদাভাবে। সে প্রচারই হোক বা নিছক আলসে মুহূর্ত.. টলিউড থেকে বলিউড, আমরা প্রতিদিন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব, বিনোদন দুনিয়ার সোশ্যালের সেরা খবরগুলোকে।
অভিনয় ছেড়ে কেমন আছেন রুশা?
চলতি বছরেই বিয়ে করেছেন তিনি, আর তারপরেই কলকাতা ছেড়ে আমেরিকাবাসী হয়েছেন এই অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়.. অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। একসময় ছোটপর্দায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর ধারাবাহিক 'তোমায় আমায় মিলে' হোক আর 'ওগো বধূ সুন্দরী' বেশ জনপ্রিয় ছিল দর্শকদের মধ্যে। তবে বিয়ের পরে অভিনয় ছেড়ে সুখেই সংসার করছেন তিনি। রুশা চট্টোপাধ্যায় (Roosha Chatterjee)। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিবারের সঙ্গে একটি ঘুরতে যাওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেছেন রুশা। সেখানে দেখা যাচ্ছে.. পরিবারের সঙ্গে ছুটির সফরে গিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ১৩ বছরের কেরিয়ার ছেড়ে অনুরণন রায়চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে সারেন তিনি। অনুরণন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। আপাতত দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে সংসার পেতেছেন রুশা। তবে এই বিয়ের পরে ভীষণভাবে কটাক্ষের স্বীকার হয়েছিলেন রুশা। একদিকে অভিনয় ছেড়ে দেওয়া অন্যদিকে তাঁর স্বামীকে নিয়েও বেশ কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল রুশাকে। তবে সেই সমস্ত কিছুকে তেমন পাত্তা দেননি রুশা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, অভিনয় ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্রও দুঃখিত নন তিনি। এতদিন যা যা চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সবকিছুই তাঁর কাছে ভীষণ কাছের। আর তাই, ভীষণ ভাল স্মৃতি নিয়েই অভিনয় জীবন শেষ করেছেন তিনি।
মৃত্যুসংবাদের আবহেই ভিডিওবার্তা সাজিদের
১৯৫৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল সাড়া জাগানো ছবি 'মাদার ইন্ডিয়া' যেখানে বিরজুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাজিদ খান। এই চরিত্রেই বড়বেলার ভূমিকায় ছিলেন সুনীল দত্ত। সারা দেশ জুড়ে সাড়া জাগিয়েছিলে এই ছবি 'মাদার ইন্ডিয়া'। ২২ ডিসেম্বর অভিনেতা সাজিদ খানের মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যু সংবাদের আবহে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন আরেক সাজিদ খান। বলিউডের বিখ্যাত 'হাউজফুল' ছবির পরিচালক সাজিদ খানের নাম জুড়ে যায় অনিচ্ছাকৃতভাবে। আর তা নিয়েই সমাজমাধ্যমে সরব হন পরিচালক। ইনস্টাগ্রামে এদিন সাজিদ একটি ভিডিয়ো বার্তা শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, 'আরআইপি সাজিদ খান (১৯৫১-২০২৩) আমি নই... আমার কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধু যাঁর সঙ্গে ভুলবশত আমাকে গুলিয়ে ফেলেছেন'। এই ভিডিয়োতেই সাজিদ বলেন, '১৯৫৭ সালে মাদার ইন্ডিয়া ছবি মুক্তি পেয়েছিল। সেই ছবিতে ছোট্ট বাচ্চার একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যে সাজিদ খান তিনি জন্মেছিলেন ১৯৫১ সালে। আমি জন্মেছি তাঁর ২০ বছর পরে। তিনি মারা গিয়েছেন। আর আমার কিছু সাংবাদিক বন্ধু ভুলবশত সংবাদপত্রে আমার ছবি দিয়ে দিয়েছেন। আর আমাকে উদ্দেশ্য করেই সেই থেকে রেস্ট ইন পিস লেখা হচ্ছে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।