মুম্বই: রাজ কপূরের বর্ণময় জীবনের কথা সিনেপ্রেমীদের অজানা ছিল না। এবার তার ওপর আরও অনেকটা আলো ফেললেন তাঁরই ছোট ছেলে ঋষি কপূর। আত্মজীবনীতে ঋষি বলেছেন, নিজের করা ছবি, সুরা ও অভিনেত্রীরা- সবই তাঁর বাবার প্রিয় ছিল।


টুইটারে আসার পর থেকেই খোলাখুলি, বিন্দাস এক ঋষি কপূরের দেখা পেয়েছেন সকলে। এই ঋষি যেমন কিম কারদাশিয়াঁর পোশাক নিয়ে ঠাট্টা করেন তেমনই টুইটারেও ঝগড়াঝাঁটি করেন ভাইঝির ছেলের নাম নিয়ে। এবার তাঁরই আত্মজীবনী বার হতে চলেছে, যার নাম ঋষির জীবনের মতই- ‘খুল্লাম খুল্লা: ঋষি কপূর আনসেন্সরড’। তাতেই তিনি লিখেছেন বাবা রাজের নিজের নায়িকাদের সঙ্গে বহুচর্চিত প্রেম নিয়ে। একইসঙ্গে ধরা পড়েছে সিনেমার প্রতি রাজের গভীর ভালবাসা ও ছেলে ঋষির সঙ্গে সম্পর্ক।

নার্গিস দত্তের সঙ্গে রাজ কপূরের সম্পর্ক দিয়েই কার্যত শুরু হয়েছে ঋষির বই। তারপর এসেছে বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে রাজের সম্পর্কের জেরে বাড়িতে অশান্তি। চিন্টু লিখেছেন, সে সময় মা তাঁকে নিয়ে গিয়ে ওঠেন মেরিন ড্রাইবের নটরাজ হোটেলে। যতদিন না সেই সম্পর্ক শেষ হয়, তাঁর মা ঘরে ফেরেননি।

বৈজয়ন্তীমালা যে এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন, তাতেও ক্ষুব্ধ ঋষি।

হুইস্কির একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের প্রতি ভারতীয় সিনেমার গ্রেটেস্ট শোম্যানের অবশেসন ছিল। যখন ছেলেদের সঙ্গে বসে তিনি পান করা শুরু করেন, তখন ঋষিরা দেখেন, বাবা লন্ডন থেকে আসা জনি ওয়াকার ছাড়া কিছু ছোঁন না। তবে ছেলেদের জন্য বরাদ্দ ছিল স্থানীয় হুইস্কি। তাঁর মৃত্যুর পর আলমারি থেকে বার হয় না খোলা অসংখ্য সুরার বোতল।

প্রথম জীবনে ভয় পেতেন বাবাকে। পরে সেটাই ব্যাখ্যাতীত ভালবাসা আর সম্মানে বদলে যায়। বিশেষ করে বাবার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতার্থ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কাছে, রাজ কপূর একইসঙ্গে বাবা ও গুরু। নার্গিসের পর তিনিই রাজের সঙ্গে সবথেকে বেশি-তিনটি ছবি.তে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন।