কলকাতা: যেন স্বপ্নপূরণ। মুম্বইতে কাজ করেও বাংলা সাহিত্যের এক চরিত্রকে স্বপ্ন বানিয়েছিলেন যিনি, তিনি নিজেই এখন সেই চরিত্রে অভিনয় করছেন। মুম্বইবাসী হলেও অভিনেতা কিন্তু আদ্য়োপান্ত বাঙালি। আর তাই, ফেলুদার চরিত্র নিয়ে তাঁর নস্ট্যালজিয়া বাকি ৫টা বাঙালির মতোই। সে যতই তিনি নিজে ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করুন না কেন!


ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (Indranil Sengupta)। সন্দীপ রায়ের (Sandip Roy) -এর নতুন ফেলুদা। আপাতত শ্যুটিং চলছে নতুন ছবি 'হত্যাপুরী'-র। আর সেই সেট থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাগ করে নিলেন পর্দার ফেলুদা স্বয়ং। ছবির ফ্রেমে অবশ্য তাঁকে দেখা গেল না। বরং বদলে গেল জায়গা। যিনি ক্যামেরার সামনে অভিনেতাদের রেখে ক্যামেরার পিছনে থাকেন সবসময়, তাকেই ক্যামেরাবন্দি করলেন নায়ক। ইন্দ্রনীলের শেয়ার করে নেওয়া ছবিতে দেখা গেল, আধো অন্ধকার শ্যুটিং সেটে চিত্রনাট্যের দিকে চোখ রেখেছেন সন্দীপ রায়। সেই সঙ্গে ফ্রেমে রইল 'হত্যাপুরী'-র সিন নম্বর লেখা ক্ল্যাপস্টিক। 


আরও পড়ুন: Shamshera Trailer: দ্বৈত চরিত্রে রণবীর, নজর কাড়লেন সঞ্জয়ও, 'শামশেরা'-র ট্রেলার জুড়ে চমক


এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে সন্দীপ রায় নিজের মুখে বলেছিলেন, 'যখন বেণু (সব্যসাচী চক্রবর্তী) ফেলুদা হিসেবে অভিনয় করছেন, তখনই প্রথম ইন্দ্রনীল আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। স্ত্রীকে আমার বাড়ির সিঁড়িতে বসিয়ে রেখে আমার সঙ্গে দেখা করেছিল ও। কেবল বলেছিল, পরের বার ফেলুদা হলে আমার কথা ভাববেন। যখন নতুন ফেলুদার জন্য পরিকল্পনা শুরু করি, তখনই ইন্দ্রনীলের কথা মাথায় এসেছিল। মনে হয়েছিল আমি কারও ওপর চরিত্রটা চাপিয়ে দিচ্ছি না। এমন একজনকে চরিত্রটা দিচ্ছি যে এই চরিত্রটা মন থেকে করতে চায়। তারপর সেটে গিয়ে মনে হয়েছে, সঠিক চরিত্রায়নই হয়েছে।'



একই সুর ছিল ইন্দ্রনীলের গলাতেও। তিনিও বলেছিলেন, 'জীবনে এখনও পর্যন্ত একটা চরিত্রের জন্যই আমি কাজ চাইতে গিয়েছি। সেটা হল ফেলুদা। যবে থেকে ফেলুদার বই পড়েছি, মনে হয়েছে বাংলায় কাজ করব আর ফেলুদা করব না তা কীভাবে সম্ভব? তবে আমি সন্দীপ রায়কে কখনও বলিনি আমায় এই চরিত্রটা দিন, কেবল বলেছিলাম, উনি যেন চরিত্রায়নের সময় আমার কথা মাথায় রাখেন। সেটা যে উনি রেখেছেন, এটা আমার স্বপ্নপূরণ।'