মুম্বই: জি ৫ অ্যাপ থেকে বেআইনিভাবে সলমন খানের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘রাধে’ ডাউনলোড এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ৫০ টাকায় পাইরেটেড প্রিন্ট বিক্রি করার অভিযোগে এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল।


পুলিশে সূত্রে খবর, অনলাইনে ‘রাধে’ ছবিটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেই বিষয়টি নজরে আসে। হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম অ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে ছবিটি। এরপরেই মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল সাইবার পুলিশ স্টেশনে জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর এফআইআর করা হয়।


সলমন খান ফিল্মসের মার্কেটিং হেড অপর্ণা দেশাই হোয়াটসঅ্যাপে ‘রাধে’-র পাইরেটেড প্রিন্ট ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জানতে পেরে জি কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপরেই তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি জি-র পক্ষ থেকে একটি অ্যান্টি-পাইরেসি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই সংস্থার পক্ষ থেকে একটি জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপকে নোটিস দিয়ে পাইরেটেড ভিডিওটি সরিয়ে ফেলতে বলা হয়।


ওই অ্যান্টি-পাইরেসি সংস্থার পক্ষ থেকে ‘রাধে’-র নির্মাতাদের জানানো হয়েছে, ছবিটির পাইরেটেড ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দু’টি ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর ‘রাধে’-র প্রযোজকদের পক্ষ থেকে অশ্বিনী রাঘব নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই ব্যক্তিই ৫০ টাকার বিনিময়ে ‘রাধে’-র পাইরেটেড ভিডিও সরবরাহ করছিলেন। জি-র পরিবেশক দলের এক সদস্য ৫০ টাকা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে সেই পাইরেটেড ভিডিও পেয়েও যান। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাঘব সহ তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি ও কপিরাইট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


এর আগেও একাধিক ছবির পাইরেডেট ভিডিও অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট ছবিগুলির নির্মাতারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। করোনা আবহে এমনিতেই বেশিরভাগ সিনেমা হল বন্ধ। গত বছর থেকেই বেশিরভাগ ছবি মুক্তি পাচ্ছে অনলাইনে। সেখানে ছবির পাইরেটেড ভিডিও প্রযোজকদের আরও ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সেই কারণেই ‘রাধে’-র ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল।