কলকাতা: চেনা জগত, চেনা দরজা। ফিল্ম সার্কিটে এন্ট্রি নিতে সেই দরজায় টোকা দেওয়ার অপেক্ষা। তারপরই চিচিং ফাঁক। বলিউডে স্টারকিডদের মুখে অদৃশ্য সোনার চামচ। তাই তাঁদের স্ট্রাগল খুব একটা করতে হয় না ওপেনিং পেতে। নেপোটিজম নিয়ে যতই শোরগোল হোক, প্রযোজকদের দরজা তাঁদের ডেবিউয়ের জন্য সবসময় খোলা। তবে স্টারকিডদের বৃত্তের বাইরে বলিউডে এখন আউটসাইডারদের বৃত্তটাও ক্রমশ নজর কাড়ছে, নিজেদের অভিনয় প্রতিভার পরিচয়ে পায়ের তলায় জমিও শক্ত করছে।


এই তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছেন বেদাঙ্গ রায়না। সিনে-সার্কিটের সঙ্গে বেদাঙ্গর বাবা-মায়ের কোনও সংযোগ নেই। কাশ্মীরি পরিবারের ছেলে বেদাঙ্গের জন্ম দিল্লিতে আর বড় হয়ে ওঠা মুম্বইয়ে। গ্র্যাজুয়েশনের পর মডেলিং দুনিয়ায় কাজের সূত্রেই তিনি চোখে পড়ে যান জোয়া আখতারের। তারপর ২০২৩-এ নেটফ্লিক্স ফিল্ম দ্য আর্চিসে অভিনয় করে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। এরপর আলিয়া ভাটের ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিগরাতে। ছবি দু'টি সাফল্য না পেলেও
বেদাঙ্গের বলিষ্ঠ অভিনয় দাগ কেটেছে। ইমতিয়াজ আলির আগামী একটি পিরিয়ড লাভ ড্রামায় বেদাঙ্গ অভিনয় করতে চলেছেন। ছবিটিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, দিলজিৎ দোসাঞ্জ, শর্বরী ওয়াঘ। শোনা যাচ্ছে, বলিউডের প্রথম সারির বেশ কিছু পরিচালকের সঙ্গেই তাঁর আরও কিছু প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে। ব্যক্তিগত জীবনে শ্রীদেবী আর বনি কপূরের ছোট মেয়ে খুশি কপূরের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রবল চর্চা চলছে সোশাল মিডিয়ায়। এনডোর্সমেন্টের দুনিয়াতেও বেদাঙ্গ এখন পরিচিত মুখ। গাড়ি নিমার্তা সংস্থা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জুতোর ব্র্যান্ড, পোশাক নির্মাতা সংস্থা, পারফিউম ব্র্যান্ড, সফট ড্রিংকস সহ বহু বিজ্ঞাপন এখন বেদাঙ্গের পকেটে।

শুরু থেকেই পাওয়ারফুল পারফরম্যান্স। প্রথম সুযোগেই বল মাঠের বাইরে পাঠাতে পারলে, লাইম লাইট কেড়ে নিতে অসুবিধে হয় না। প্রমাণ করে দিয়েছেন শর্বরী ওয়াঘ। তিনি বলিউডের ঘরের মেয়ে নন। বাইরে থেকে এসেও তিনি যেভাবে চালিয়ে খেলছেন, তাতে সমসাময়িক অনেকের মনেই হয়তো ঈর্ষার মেঘ জমেছে। ২০২০ সালে কবীর খান পরিচালিত ওয়েব সিরিজ 'দ্য ফরগটন আর্মি'-তে অভিনয় করে বলিউডে পা রাখেন করেন তিনি। এরপর ২০২১-এ বান্টি অউর বাবলি টু-তে অভিনয় করে বড় পর্দায় ডেবিউ। মু্ঞ্জেয়া, মহারাজ আর বেদা-র মত ছবিতে অভিনয়ের পরই শর্বরী হাতে পেয়ে গিয়েছেন যশরাজ ফিল্মসের মেগাবাজেট প্রজেক্ট, আলফা। স্পাই-ইউনির্ভাসের এই ফিল্মে আলিয়ার সঙ্গে অভিনয় করেই ভারতীয় সিনেমায় এক নতুন ফ্র্যাঞ্জাইজির অংশীদার হবেন শর্বরী। অভিনয় জীবনে পা রাখার আগে শর্বরী পেয়ার কা পঞ্চনামা টু, বাজিরাও মস্তানি এবং সোনু কে টিটু কি সুইটি - এই তিনটি ছবিতে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব সামলেছেন। কেরিয়ার থেকে এবার শর্বরীর ব্যক্তিগত জীবনে চোখ রাখা যাক। মহারাষ্ট্রের ১২তম মুখ্যমন্ত্রী, প্রয়াত মনোহর যোশী ছিলেন শর্বরীর দাদু। তাঁর মা নম্রতা ওয়াঘ পেশায় আর্কিটেক্ট। বাবা শৈলেশ ওয়াঘ একজন প্রতিষ্ঠিত বিল্ডার। আন্তর্জাতিক প্রসাধনী নির্মাতা সংস্থা থেকে শুরু করে গয়না, সফট ড্রিঙ্কস, ওরাল কেয়ার, আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনেও এখন নজর কাড়ছেন শর্বরী।

এবার বলিউডের ইয়ং ব্রিগেডের আরেক আউট সাইডারের সাফল্যের কাহিনি। দর্শকেরা ভালভাবে তাঁকে প্রথমবার চিনেছিলেন সানি মণ্ডলের চরিত্রে। নেটফ্লিক্স সিরিজ জামতাড়া-য় সানির চরিত্রে অভিনয় করেই স্পর্শ শ্রীবাস্তব তাঁর অ্যাক্টিং কেরিয়ারে নতুন ইন্ধন পান। আর সেই ইন্ধনের জোরেই কিরণ রাওয়ের ছবি 'লাপতা লেডিজ'-এ অভিনয়ের সুযোগও এসে যায়। তিনি সুযোগ কাজেও লাগান দুরন্ত পারফরম্যান্সে। তারপর আমাজন অরিজিনাল ফিল্ম অ্যায় বতন মেরে বতন-এ সারা আলি খানের সঙ্গেও অভিনয় করলেন স্পর্শ। আর সম্প্রতি সাড়া ফেললেন ওয়েব সিরিজ দুপাহিয়া-তে ভূগোলের ভূমিকায় নজরকাড়া অভিনয় করে। বলিউডের নতুন মুখেদের মধ্যে স্পর্শ অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা। আগামীতে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন স্পর্শ, যেখানে তাঁকে দেখা যাবে ভিলেনের ভূমিকায়। বিনোদন দুনিয়ায় তিনি পা রেখেছিলেন মাত্র ১১ বছর বয়সে। ছোটদের রিয়েলিটি শো 'চাক ধুম ধুম'-এর উইনার ছিলেন তিনি। টিভি সিরিয়াল বালিকা বধুতেও অভিনয় করেছিলেন স্পর্শ। নাগা চৈতন্যর ছবিতে এবার খলনায়কের ভূমিকায় তাঁকে দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে দর্শকদের।

অ্যানিমালে রণবীর কপূরের সঙ্গে অভিনয় করে সোশাল মিডিয়ায় ন্যাশনাল ক্রাশ তকমা পেয়েছিলেন তৃপ্তি দিমরি। বলিউডের নায়িকা ব্রিগেডের মধ্যে এখন তৃপ্তিই ব্যস্ততম মুখ। বি-টাউনে তাঁর কোনও পারিবারিক কানেকশন ছিল না। তবে নিজের প্রতিভার জোরেই একের পর এক হার্ডল তিনি পেরোচ্ছেন সাফল্যের সঙ্গে। অ্যানিমালে অভিনয়ের আগে ছবি প্রতি তৃপ্তির পারিশ্রমিক ছিল প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, এখন ছবি পিছু তৃপ্তি প্রায় ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। শ্রীদেবী অভিনীত মম-এ তৃপ্তি চোখে পড়ার মত কোনও চরিত্রে ছিলেন না। তারপর পরিচালক হিসেবে শ্রেয়স তালপড়ের ডেবিউ ফিল্ম 'পোস্টার বয়েজ'-এ অভিনয় করেন তিনি। তৃপ্তি প্রথমবার দর্শকদের নজর কাড়েন অনভিতা দত্তের নেটফ্লিক্স ফিল্ম বুলবুল-এ পাওলি দাম আর রাহুল বসুর সঙ্গে অভিনয় করে। তারপর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বাবিল খানের সঙ্গে নেটফ্লিক্স ফিল্ম কালা-তেও তৃপ্তির অভিনয় দাগ কেটে যায় দর্শকদের মনে। অ্যানিমালের পর তৃপ্তির ফিল্মোগ্রাফিতে ব্যাড নিউজ, ভিকি বিদ্যা কা ওহ বালা ভিডিও, ভুল ভুলাইয়া থ্রি-র মত ছবির নাম জুড়ে গিয়েছে। আগামীতে কর্ণ জোহরের প্রযোজনায় সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর বিপরীতে তৃপ্তিকে দেখা যাবে ধড়ক টু ছবিটিতে। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় শাহিদ কপূরের সঙ্গে একটি অ্যাকশন থ্রিলার ফিল্মেও অভিনয় করছেন তৃপ্তি। রণদীপ হুডা আর নানা পাটেকরও রয়েছেন ছবিটিতে। এছাড়া ইমতিয়াজ আলির ফিল্ম দ্য ইডিয়ট অফ ইস্তানবুলেও তৃপ্তি অভিনয় করবেন বলে খবর সূত্রের। বলিউডে তৃপ্তির ক্রেজ এভাবেই বাড়ছে ক্রমশ।

মুঞ্জেয়ায় সাফল্যের স্বাদ চেখে বি-টাউনের প্রমিসিং ট্যালেন্টের তালিকায় এখন অন্যতম নাম অভয় বর্মা। শাহরুখ খানের আগামী ছবি 'কিং'-এর সঙ্গে যে অভিনেতার নাম গুঞ্জনে শোনা যায়, তাঁর কি আর আলাদা করে ট্যালেন্টের তকমার প্রযোজন পড়ে? হরিয়ানার পানিপথের ছেলে অভয়। বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেও মাঝপথে তা ছেড়ে দিয়ে অভয় মুম্বই চলে আসেন নিজের স্বপ্নকে সার্থক করতে। শুরুতে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাঁকে। ২০১৮-য় মুক্তি পাওয়া হৃতিক রোশন অভিনীত 'সুপার থার্টি' ছবিটিতে তিনি জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তখন তাঁর প্রতিদিনের পারিশ্রমিক ছিল ৮০০ টাকা। অভিনেতা হিসেবে অভয় প্রথমবার দর্শকদের
নজরে পড়েন মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত দ্য ফ্যামিলি ম্যান সিজন টুতে। ধ্রুতির বন্ধু কল্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপরই শর্বরী ওয়াঘের সঙ্গে জুটিতে আদিত্য সরপোতদারের ছবি মুঞ্জেয়ায় অভিনয় করে ভারত জুড়ে সারা ফেলে দেন অভয় বর্মা। সিদ্ধার্থ আনন্দের পরিচালনায় শাহরুখ খানের কিং-এও অভয় অভিনয় করছেন বলে শোনা যাচ্ছে বলিউডি গুঞ্জনে। কিন্তু তিনি নিজে এখনও খবরটি কনফার্ম করেননি। এদিকে গোয়ায় সুজাত সওদাগরের আগামী ছবির শ্যুটিং শুরু করে দিয়েছেন অভয়। ছবিটিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন শানায়া কপূর। নিজের প্রতিভায় অভয় কেরিয়ারকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যান, সেই উত্তর ভবিষ্যতেই মিলবে।

কিরণ রাওয়ের লাপতা লেডিজের হাত ধরে লাইম লাইটে এসেছেন অভিনেত্রী প্রতিভা রান্টা। হিমাচল প্রদেশের সিমলার মেয়ে প্রতিভা নিজের অ্যাক্টিং কেরিয়ার শুরু করেছেন ২০২০ সালে। কুরবাঁ হুয়া নামে একটি ধারাবাহিকে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তারপরে তাঁকে দেখা যায় দর্শিল সাফারি এবং গৌরব আরোরা অভিনীত সিরিজ  'আধা ইশক'-এ। তবে তাঁর অভিনয়ের ধার প্রথম বোঝা গিয়েছে সঞ্জয়লীলা ভন্সালির সিরিজ হিরামাণ্ডিতে। শমার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রতিভা। এরপরই লাপতা লেডিজে অভিনয় করে বড়পর্দায় ডেবিউ। চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি দর্শকদের বহুল প্রশংসা কুড়োয়  তাঁর অভিনয়। প্রতিভা ইতিমধ্যে আরও একটি ছবির শ্যুটিংও শেষ করে ফেলেছেন। অনুভূতি কাশ্যপের নতুন ছবিতে প্রতিভা অভিনয় করেছেন কঙ্কনা সেনশর্মার সঙ্গে।


এবার আসা যাক লক্ষ্য লালওয়ানির প্রসঙ্গে। কথায় বলে, পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় থাকলে, লক্ষ্যে পৌঁছোনো থেকে কেউ আটকাতে পারে না। লক্ষ্য লালওয়ানির কেরিয়ার স্ট্রাগলের প্রথম অধ্যায়টা সেই কথাই অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করে। লক্ষ্য কোনও বলিউডি পরিবারের সদস্য নন। ২০১৫ নাগাদ
মুম্বইয়ে এসে হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি চলছিল মডেলিংও। একতা কপূর প্রযোজিত সিরিয়াল 'পরদেশ মে হ্যায় মেরা দিল' অভিনেতা হিসেবে প্রথম ব্রেক দেয় তাঁকে। এরপর ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় উত্তরণের চেষ্টা করতে করতেই লক্ষ্য লালওয়ানি পৌঁছে যান ধর্মা প্রোডাকশনে। কর্ণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে  তাঁর তিনটি সিনেমার চুক্তি হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কার্তিক আরিয়ান আর জাহ্নবী কপূরের সঙ্গে দোস্তানা টু এবং শনায়া কপূরের সঙ্গে বেধড়ক ছবি দুটির কাজ শুরু হয়েও বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু লক্ষ্য লক্ষ্যে পৌঁছোনোর ধৈর্য্য হারাননি। ধর্মা প্রোডাকশনের ব্যানারেই কিল মুক্তির পর সারা ভারতে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। আরিয়ান খানের নেটফ্লিক্স প্রজেক্ট দ্য ব্যাডস অফ বলিউডেও অভিনয় করছেন লক্ষ্য লালওয়ানি। ধর্মা প্রোডাকশনের ব্যানারে অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে আরও একটি ছবি চাঁদ মেরা দিল-এও অভিনয় করছেন লক্ষ্য।

বলিউডে বহিরাগত হিসেবে পা রাখার পর একলা লড়ে কীভাবে শিখরে উঠতে হয়, তা শিখিয়েছেন শাহরুখ খান। নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর আদম্য আত্মবিশ্বাস কোনও মানুষকে কোন জায়গা থেকে কোন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে, শাহরুখ তাঁর সেরা নিদর্শন। অমিতাভ বচ্চনও বলিউডি ফ্যামিলির অংশ ছিলেন না। নিজের প্রতিভা আর পরিশ্রমেই তিনি বলিউডের শাহেনশা হয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে বলতেই হয় কঙ্গনা রানাওয়াতের কথাও। বলিউডে কঙ্গনার কোনও গডফাদার ছিল না। কেরিয়ার শুরুর পর তাঁর বিপথে চলে যাওয়ার সম্ভবনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু লড়াকু কঙ্গনা দাঁতে দাঁত চেপে নিজের অধিকার, নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়ে গিয়েছেন। বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা আর প্রযোজনার দায়িত্ব নিয়ে লোকসানের মুখও দেখেছেন। কিন্তু হার মানেননি।

আর রশ্মিকা মন্দানার কথাই ধরুন। কর্ণাটকের বিরাজপেটের মেয়ে রশ্মিকার বাবার একটি কফি এস্টেট আর একটি ফাংশন হলের মালিকানা ছিল। কিন্তু ছোটবেলায় দারিদ্রের সঙ্গে লড়তে হয়েছে তাঁকেও। কলেজে পড়ার সময় একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জিতে অক্ষয় কুমারের হাত থেকে পুরস্কার নেন রশ্নিকা। সুযোগ পান বিজ্ঞাপনে। তারপরই জীবন বদলায় একটু একটু করে।  রশ্মিকার ফিল্মোগ্রাফিতে তাঁর শেষ তিনটি ছবি অ্যানিমাল, পুষ্পা টু, এবং ছাবা বক্স অফিসে মোট ৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকার ব্যবসা দিয়েছে। এমন রেকর্ড আর কোন অভিনেত্রীর আছে?

প্রতীক গান্ধী, রাজকুমার রাও, বিক্রান্ত মেসি, পঙ্কজ ত্রিপাঠী, মনোজ বাজপেয়ী থেকে জয়দীপ অহল্বাত, বিজয় বর্মা, ঋত্বিক ভৌমিক, আদর্শ গৌরব, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, সানি হিন্দুজা। এঁদের কেউই পারিবারিক ভাবে বলিউডি বৃত্ত টপকে লাইম লাইটে আসেননি। সাফল্য পেয়েছেন প্রতিভার বিচ্ছুরণে।