কলকাতা: 'সবই আছে আগে থেকে ঠিক করা, বাঁধা আছে যেন কোনও গাঁটছড়া'। এই শিরোনামেই শুরু হয়েছিল নতুন ধারাবাহিক। গল্পের মোড় ঘুরে দ্যুতির বদলে মন্ডপে পৌঁছল খড়ি! ঘোমটায় মুখ ঢাকা খড়িকেই দ্যুতি মনে করে পালন হল বিয়ের সমস্ত আচার আচরণ। কিন্তু সিঁদুরদানের মুহূর্তে বেঁকে বসল খড়ি নিজেই!
স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক 'গাঁটছড়া'-য় জুটি বেঁধেছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও সোলাঙ্কি রায়। চিত্রনাট্য অনুযায়ী গৌরব ওরফে ঋদ্ধির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা খড়ির বড় বোন দ্যুতি ওরফে শ্রীমার। কিন্তু বিয়ের সন্ধেয় সবার অলক্ষ্যে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় শ্রীমা (Sreema)। বাড়ির সবার অনুরোধে সম্মান রক্ষার্থে কিছুটা বাধ্য হয়ে কনের সাজেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে খড়ি। কিন্তু সিঁদুরদানের মুহূর্তে নিজের ঘোমটা সরিয়ে ঋদ্ধিকে নিজের পরিচয় দেয় সে। পরিস্থিতি না জেনেই খড়িকে ভুল বোঝে ঋদ্ধি। কার্যত জোর করেই খড়িকে সিঁদুর পরিয়ে দেয় সে। ভুল বুঝে খড়ির জীবন কী অশান্তিতে ভরিয়ে তুলবে ঋদ্ধি? উত্তর দেবে 'গাঁটছড়া'-র আগামী পর্ব।
করোনামুক্ত প্রসেনজিৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় চিকিৎসক, অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানালেন অভিনেতা
সম্প্রতি এই ধারাবাহিক ও চ্যানেলের তরফ থেকে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক 'গাঁটছড়া' ও একটি আর্ট ফেস্টের উদ্যোগে নতুন করে সেজে উঠেছে বেহালা বাগানবাড়ি বস্তি। দেওয়ালে দেওয়ালে ফুটে উঠেছে বিয়ের বিভিন্ন ছবি। আর এই পরিকল্পনা নাকি ধারাবাহিকের খড়ি ওরফে সোলাঙ্কি রায়ের (Solanki Roy)। চ্যানেলের তরফ থেকে দেওয়া একটি ভিডিওতে খড়িকে বলতে শোনা গেল, একদিন তিনি ও বনি নাকি ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়েছিলেন বেহালার এই বস্তিতে। গায়ে গায়ে বাড়ি, নোনা ধরা দেওয়াল যেন গল্প বলে সেখানকার মানুষদের কঠিন জীবনযাত্রার। সেই দেওয়ালগুলিকেই নতুন রঙে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়।
আনন্দ উৎসব মানেই গাঁটছড়া অর্থাৎ বিয়ে। খড়ির উদ্যোগে সেখানে আসেন আর্ট ফেস্টের মানুষ ও বিভিন্ন শিল্পীরা। সিমেন্ট, বালি তারপর সাদা রঙ, তার ওপরে গ্রাফিতির সাজ। কোথাও পানপাতা, কোথাও সানাই, কোথাও বিয়ের বিভিন্ন রীতি। মালাবদল থেকে শুরু করে সাতপাক, সিঁদুরদান, কি নেই সেখানে। যেন বিয়ের আসর সাজানো হয়েছে। গোটা বস্তি জুড়ে উৎসবের আমেজ। এমনকি পাড়ার লোকেরা নাকি ভাবছেন, এরমধ্যে কারও বিয়ের আয়োজন করা যায় কি না।