কলকাতা: বিনোদনের জগতে গতকাল রাত থেকে শোকের ছায়া। প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কে কে। বিনোদনের সেরা খবরগুলিতে চোখ বুলিয়ে নিন। (Top Entertainment News Today)
কে কে-এর প্রয়াণে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু-
প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কে কে (Krishnakumar Kunnath)। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ বোধ করেন তিনি। এরপরই হোটেলে ফিরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি সিএমআরআই-তে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে কে-এর প্রয়াণে এবার নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ বোধ করেন। এরপর শো শেষ করে হোটেলে ফিরে জ্ঞান হারান। ফলে অসুস্থতার কারণেই তাঁঁর মৃত্যু হয়েছে না অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখতেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের। এছাড়া কালকের অনুষ্ঠানে কে কে-র সঙ্গে যাঁরা ছিলেন অর্থাৎ তাঁর সঙ্গী বা সহ সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে ও হোটেল কর্মীদের কথা বলবেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজন পড়লে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হতে পারে।
কে কে-র অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার দর্শক-
সোমবার নজরুল মঞ্চেই (Nazrul Mancha) ঠাকুরপুকুরের গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন কে কে। অনুষ্ঠানের মাঝেই জানিয়েছিলেন, অসুস্থ বোধ করছেন তিনি। এমনই দাবি করছেন নজরুল মঞ্চের নিরাপত্তারক্ষীরা (Security)। অনুষ্ঠান শেষে হোটেল ফিরে আরও অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত পরশুর পর গতকালও নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করেছিলেন কে কে। অনুষ্ঠানের মাঝেই অসুস্থ বোধ করছেন বলেও জানান তিনি। নজরুল মঞ্চের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, গতকাল প্রচণ্ড ভিড় হয়েছিল নজরুল মঞ্চে। প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার দর্শক হাজির ছিলেন কে কে-র অনুষ্ঠান দেখতে। পাঁচিল টপকেও ঢুকে পড়েন অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে কখন নজরুল মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান কে কে, ভিড়ের কারণে তা টেরই পাননি বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী।
কলকাতায় এসে পৌঁছলেন কে কে-র স্ত্রী ও ছেলে-
আজ সকালেই কে কে-র স্ত্রী ও পুত্রের আসার কথা ছিল। মুম্বই থেকে সকাল ৭টা নাগাদ রওনা দেন তাঁরা। কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখতেই পরিবারের সদস্যদের সামনে এসে যান সাংবাদিকরা। যদিও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি শিল্পীর স্ত্রী। গাড়িতে করে বিমানবন্দর থেকে রওনা দেন। কিন্তু তাঁদের গন্তব্য ঠিক কোথায় তা এখনও নিশ্চিত নয়।
আমরা মর্মাহত: মমতা-
সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখেছেন, 'বলিউডের প্লে ব্যাক গায়ক কে কে-র আকস্মিক ও অকালমৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, তাঁর শেষকৃত্য, পরিবারকে সহায়তা দিতে গতকাল রাত থেকেই কাজ করছেন আমার সহকর্মীরা। গভীর সমবেদনা জানাই। ট্যুইটে এমনটাই লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
'ওঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, গান স্যালুটে শ্রদ্ধা জানানো হবে,' ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর-
‘কে কে (K K)-র স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে দমদম বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) এসে শ্রদ্ধা জানাব।' শ্রদ্ধা জানানো হবে গান স্যালুটে। বাঁকুড়ার (Bankura) সভা থেকে বুধবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, 'অন্তত যদি শেষ দেখা দেখা যায়, পুলিশকে (Kolkata Police) দিয়ে গান স্যালুট (Gun Salute) করাব।
আরও পড়ুন - KK’s Death: কে কে-র অকালমৃত্যুর জেরে নজরুল মঞ্চে কি চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে কলেজ ফেস্ট?
কে কে-র অনুষ্ঠানের ভিডিও ভাইরাল-
সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের মাঝে অসুস্থ বোধ করেন সঙ্গীতশিল্পী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও। এমনই একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে মঞ্চে দাঁড়িয়ে দরদর করে ঘামছেন কে কে। তোয়ালেতে মুখ মুছছেন শিল্পী। জানা যাচ্ছে একইসঙ্গে অডিটোরিয়ামের এসি কাজ করছিল না বলেও জানান কে কে। শোনা যাচ্ছে, 'নজরুল মঞ্চে বাতানুকূল যন্ত্র কাজ করছিল না। প্রচণ্ড ঘামছিলেন কে কে, অনুষ্ঠান চলাকালীন সেই কথা জানানও তিনি।' বদ্ধ অডিটোরিয়াম ও দর্শকাসনের থেকে বেশি সংখ্যক শ্রোতা হাজির হওয়ায় পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যায়। গোটা ঘটনায় নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষের ওপরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেক নেটিজেনই। তবে অসুস্থ বোধ করলেও অনুষ্ঠান শেষ করেন তিনি। সাময়িক বিশ্রাম নিয়ে ফের মঞ্চে ফেরেন। হাসিমুখে শেষ করেন অনুষ্ঠান।
প্রয়াত শিল্পী প্রসঙ্গে রূপঙ্করের মন্তব্য ভাইরাল-
'আমি তো গান শুনে যা বুঝলাম কে কে-র থেকে আমরা সবাই ভাল গান গাই। তো আমাদের নিয়ে আপনারা এত উত্তেজনা বোধ করেন না কেন বলুন তো? কী কারণ? কে কে, কে কে, কে কে... কে? হু ইজ কে ম্যান? আমরা যে কোনও কে-র থেকে বেশি ভাল,' গত পরশু ফেসবুক লাইভে এসে এমনই মন্তব্য করেন বাংলার গায়ক রূপঙ্কর।
কে কে-র মৃত্যুতে আয়োজকদের গ্রেফতারের দাবি অনুপমের-
সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুুতে (Singer KK Death) এ বার অনুষ্ঠানের আয়োজকদের গ্রেফতারির দাবি তুললেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বদ্ধ ঘরে কে কে-কে ঢুকিয়ে দমবন্ধ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। কত জন দর্শক ধরার জায়গা ছিল, কত জন ঢুকেছিলেন অনুষ্ঠানে, তা-ও খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন তিনি।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কে কে-র ছায়াসঙ্গী ছিলেন ম্যানেজার হিতেশ ভাট-
গতকাল অনুষ্ঠান শেষে ফিরে যাওয়ার সময় গাড়িতে শীত করছিল কে কে-র। তাঁর জন্য গাড়ির এসি বন্ধ করে দিতে হয়। হাতে-পায়ে ক্র্যাম্প ধরতে শুরু করে। তবুও হোটেলে ফিরে অনুরাগীদের ডাকে সাড়া দিয়ে ছবিও তোলেন কে কে। হোটেলের ঘরে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান। কে কে-র শেষ মুহূর্তের এই সমস্ত কথা জানিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার হিতেশ ভাট। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, গতকাল নজরুল মঞ্চ 'ওভার ক্রাউডেড' ছিল।
সামনে এল প্রয়াত কে কে-র ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-
সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুতে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিন গ্র্যান্ড হোটেলে যান কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা ও ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। পাশাপাশি কে কে-র ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে যে, হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা ছিল কে কে-র। তবে, রাসায়নিক বিশ্লেষণের পর পাওয়া যাবে চূড়ান্ত রিপোর্ট। এখনও পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। কিন্তু চূড়ান্ত রিপোর্টেই আসল কারণ জানা যাবে কে কে-র প্রয়াণের।
রূপঙ্করের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইমন চক্রবর্তী-
সঙ্গীতশিল্পী ইমনের বক্তব্য, 'রূপঙ্কর দা কিছু বক্তব্য রেখেছেন। ওঁর মতো করে। উনি নিজের বক্তব্য রেখেছেন। এবং সেখানে আমার নামও রয়েছে যে আমি কতটা ভালো গান গাই। আমার পারফরম্যান্সের জন্য কত লোক উপচে পড়ে। তার জন্য আমি অনেক কৃতজ্ঞ। থ্যাঙ্ক ইউ রূপঙ্কর দা। তুমি এভাবে আমার প্রশংসা করেছো বলে। বাংলার শিল্পীদের হয়ে কথা বলেছ বলে। খুব জোর গলায় তুমি এই কথাগুলো বলেছ। কিন্তু এটা বলার আগে যদি একবার যাদের নাম বলেছ, তাদের থেকে জানতে চাইতে যে এটা তাদেরও বক্তব্য কিনা, তাহলে খুব ভালো হত। কারণ, এটা একেবারেই আমার বক্তব্য নয়।'
রূপঙ্করের মন্তব্যে কী বলছেন অর্জুন চক্রবর্তী?-
বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty) বলেন, 'আমার মনে হয় কোনও সিস্টেমকে সমালোচনা করা বা একটা সংস্ক্তিকে সমালোচনা করা। বিশেষ করে কারও নাম না নিয়েও অনেক কথা বলা যায়। শিল্পী হিসেবে আমরা সবাই নিজের জায়গা থেকে চেষ্টা করি। ছবি আঁকা, গান গাওয়া, অভিনয় করা যাই হোক না কেন। খেলার দিক থেকেও তাই। এভাবে না বললেও হত। '
'হজমের সমস্যা ছিল ভেবে প্রচুর অ্যান্টাসিড খেতেন কে কে’-
পাশাপাশি উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য, সূত্রের খবর ‘দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগের সমস্যা যে ছিল, সেটা জানতেনই না কেকে’, পুলিশকে এমনই জানিয়েছেন অটোপসি বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গীতশিল্পীর হঠাৎ শরীর খারাপের পর তাঁর অকালপ্রয়াণ হলেও সমস্যা যে লম্বা সময় ধরেই ছিল, সেটা উঠে এসেছে কে কে-র স্ত্রীর কথাতেও। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ‘হজমের সমস্যা ছিল ভেবে প্রচুর অ্যান্টাসিড (Antacid) খেতেন কে কে। ৩০ মে কলকাতায় এসে বলেন হাত-কাঁধে ব্যথা হচ্ছিল।' পুলিশের কাছে এমনই জানিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পীর স্ত্রী।
লিফটে ওঠার আগেও কে কে মিটিয়েছেন ভক্তদের সেলফি আবদার-
নজরুল মঞ্চে উপচে পড়া ভিড়ের মাঝে অস্বস্তি নিয়েও একের পর এক হিট গান। তারপর অসুস্থ বোধ করায় যা হোক করে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে কে কে-র অডিটোরিয়াম ছাড়া। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী যখন নজরুল মঞ্চ (Nazrul Manch) ছাড়ছেন, তখন তাঁর চোখে-মুখে অস্বস্তির বোধ যে স্পষ্ট, সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল। আর তার কিছুক্ষণ পরই সব শেষ। সুরের দেশে পাড়ি কে কে-র (KK Demise)। কিন্তু হোটেলে ফেরার পর মাঝের সময়টুকুতে চূড়ান্ত অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেও ভক্তের টানে সাড়া দিতে দু'বার ভাবেননি কে কে। হোটেলে ফিরে লিফটে ঢোকার মুখেও ভক্তদের আবদারে তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তুলেছিলেন সেলফি। তারপরই লিফটে হয়ে পড়েন প্রচণ্ড অসুস্থ।
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন রিয়া-
বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চারদিনের অ্যাওয়ার্ডস সেরিমনিতে উপস্থিত থাকতে পারবেন রিয়া চক্রবর্তী। কিন্তু মুম্বই ফিরে এসেই ফের তাঁকে হাজিরা দিতে হবে আদালতে। এছাড়াও সিকিউরিটি মানি হিসেবে এক লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে তাঁকে।
পুলিশে অভিযোগ রূপঙ্করের স্ত্রীর-
জানা গিয়েছে, কে কে প্রসঙ্গে লাইভের জেরে রূপঙ্কর বাগচীর ফোনে ফোন করে কেউ হুমকি দিয়েছেন। রূপঙ্করের বদলে ফোনটি ধরেছিলেন তাঁর স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ী। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে একটি অডিও ক্লিপ সমেত টালা থানায় ই-মেল মারফত অভিযোগ করেছেন রূপঙ্করের স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের পক্ষ থেকে অডিও ক্লিপটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি থানায় হাজির হয়ে লিখিত আকারে অভিযোগ নথিবদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
মুম্বই পৌঁছেছে কে কে-র মরদেহ, আগামীকাল শেষকৃত্য-
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধের কিছু পরে কলকাতা থেকে মুম্বই এসে পৌঁছয় সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মরদেহ। ৭৭৩ নম্বর বিমানে মুম্বই পৌঁছয় দেহ। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছয় বিমানবন্দরে। উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়রা। সমস্ত কাগজপত্রের কাজ শেষ করে সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই সঙ্গীতশিল্পীর বাসভবনে পৌঁছয় কে কে-র মৃতদেহ। তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের হলেই রাখা হবে তাঁকে। সেখানেই শেষশ্রদ্ধা জানাতে পারবেন অনুরাগী থেকে তারকারা। আগামীকাল সকাল ১১টায় ভারাসোভা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কে কে-র। শেষকৃত্যে একাধিক তারকা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
শেষকৃত্যের সময়সুচী দেওয়া হল কে কে-র সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে-
ইতিমধ্যেই মুম্বই পৌঁছেছে কে কে-র মরদেহ। কলকাতায় তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানানোর পর পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গায়কের দেহ। মুম্বই পৌঁছনোর পরই কে কে-র সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শেষকৃত্যের সময়সূচী দেওয়া হয়। তাতে লেখা রয়েছে। 'আগামীকাল অর্থাৎ ২রা জুন বৃহস্পতিবার পার্ক প্লাজা, ভারাসোভা, আন্ধেরিতে কে কে-কে শেষশ্রদ্ধা জানান যাবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত। ভারাসোভা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। অন্তিম যাত্রা সম্পন্ন হবে দুপুর একটায়।' পোস্ট করে আরও লেখা হয়েছে ''কে কে, কৃষ্ণকুমার কুন্নথ তুমি আমাদের ভালোবাসায় থাকবে চিরকাল। তোমাকে আমরা অত্যন্ত মিস করব।''
শেষ কয়েক মুহূর্ত ঠিক কী হয়েছিল? কী করছিলেন কে কে ?
জানা গিয়েছে, নজরুল মঞ্চ থেকে কনসার্ট সেরে রাত ৯টা ১০ মিনিটে হোটেলে ফেরেন কেকে। লিফটে ওঠার আগে কয়েকজন ফ্যানের সঙ্গে সেলফিও (Selfie) তোলেন কেকে। লিফটে (Lift) ঢুকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কে কে, ঝুঁকে যায় মাথা। হোটেলের ঘরে ঢোকার পরেই সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান কে কে। সোফায় বসার সময় পড়ে গিয়ে টেবিলে মাথা ঠুকে যায় কে কের। কে কে-কে অসুস্থ হতে দেখে ছোটাছুটি শুরু করেন ম্যানেজার। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন হোটেলকর্মীরা, খবর দেওয়া হয় চিকিৎসককে। অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় হোটেলের গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআইতে। চিকিৎসকের পরামর্শে সঙ্গে সঙ্গে কে কে-কে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই সঙ্গীতশিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।