কলকাতা: "দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স" তথ্য়চিত্রের জন্য় অস্কার জন্য় জিতে সিনেমহলে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন পরিচালক গুণীত মঙ্গা। এবার এই  তথ্য়চিত্রের মুকুটে যুক্ত হয় আরও একটি পালক। সম্প্রতি তথ্য়চিত্র  "দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স"-এর হাত ধরে শুরু হল গোয়া এনভায়রনমেন্টাল চলচ্চিত্র উৎসব।


এনভায়রনমেন্টাল চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নীলেশ ক্যাবরাল জানান যে, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ৫০টি ছবি প্রদর্শিত হবে। তিনি বলেন, "প্রত্যেকের উচিত পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট হওয়া। আমি আশা করি আমরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।"


আরও পড়ুন...


Skin Care Tips: জিমে গিয়ে শরীরচর্চার পাশাপাশি খেয়াল রাখুন ত্বকেরও, কোন কোন বিষয় নজরে রাখবেন?


এই চলচ্চিত্র উৎসবে, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওমান, পর্তুগাল, রাশিয়া, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।


প্রসঙ্গত, ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (95th Academy Awards) মঞ্চে সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট (Documentary Short Film) বিভাগে অস্কার পেয়েছিল ভারতীয় ছবি 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স' (The Elephant Whisperers)। সেই খুশিকে দ্বিগুন করে গুণীত মোঙ্গা (Guneet Monga) ও পরিচালক (Director) কার্তিকি গঞ্জালভেসের (Kartiki Gonsalves) সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


কী ছিল 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স' -এর গল্প?


'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স' এক স্থানীয় দম্পতি, বোমান ও বেলির গল্প বলে। যাঁরা পেশায় মাহুত বা 'এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স'। রঘু নামের এক অনাথ হস্তিশাবককে দায়িত্ব নিয়ে বড় করে তোলার গল্প দেখা যায় এই ছবিতে। অস্কার জিতলেও এখনও নিজেদের কাজে, নিষ্ঠায় অচল তাঁরা। সম্প্রতি এক ছবি পোস্ট করে পরিচালক জানান যে তাঁদের দায়িত্বে এখন নতুন হস্তি শাবক এসেছে। তামিলনাড়ুর বন দফতর উদ্ধার করেছে একটি ৪ মাসের হস্তিশাবককে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে দলে ফেরাতে পারেননি বন দফতরের কর্মীরা। আর তাই সেই হস্তিশাবকদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব পড়েছে ওই মাহুত দম্পতির ওপর। তামিলনাড়ুর মুদুমালাই জাতীয় উদ্যানের গল্প এটি। তথ্যচিত্রে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষ ও পশুপাখির স্বাভাবিক মেলবন্ধনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। 


পরিচালক গুণীত মঙ্গা বলেছিলেন, "প্রতিটি চলচ্চিত্রের নিজস্বতা আছে। পরিচালকেরা পুরস্কারের জন্য ছবি তৈরি করেন না, ভাল গল্প বলাই পরিচালকের একমাত্র উদ্দেশ্য় হয়ে থাকে।"


তিনি আরও বলেছিলেন, 'আপনি যে গল্প বলতে চাইবেন, সেটি সম্পর্কে আপনার যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে। প্রতিদিন সেই গল্পকে ভালবাসতে হবে। একটি ভাল গল্প দর্শকের সামনে তুলে ধরার জন্য় তিন থেকে চার বছরের কঠিন পরিশ্রম লাগে।'