মুম্বই: আজ অনুষ্কার (Anushka Sharma) জন্মদিনে ইন্সটায় রোমান্টিক পোস্ট বিরাট কোহলির (Virat Kohli) । ঘরনির জন্মদিনে পরপর দুটি ছবি পোস্ট (Post) করেছেন তিনি। বিরাট কোহলি, তাঁর প্রাণের মানুষের জন্য লিখেছেন, তোমার সমস্ত মিষ্টি ম্যাডনেসের মধ্য দিয়ে আমি তোমাকে ভালবাসি, হ্যাপি বার্থে ডে মাই এভরিথিং।'
সামনে যত প্রসঙ্গই আসুক, সাধারণত ব্যাক্তিগত জীবন অন্তরালেই রাখতে পছন্দ করেন বিরুষ্কা। লাইমলাইটের শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma), মূল বিষয়ের বাইরে একচুলও নড়েন না। তবে সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে বদলাল গ্রাফ। ব্যাক্তিগত কথাই শেয়ার করতে শোনা গিয়েছিল বিরাটকে। মা হিসেবে অনুষ্কা কেমন ? এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিরাট কোহলি।
বিরাট কোহলি আরসিবি পডকাস্টে জানিয়েছেিলেন, তার জীবনটা বদলে গিয়েছে অনুষ্কা আসার পর। গত দুই বছরে জীবনে অনেকটাই এসেছে পরিবর্তন। আমাদের জীবনে একটা সন্তান আছে এখন। মা হিসেবে অনুষ্কার ত্যাগ অনেক বড়। ওর দিকে তাঁকিয়ে ভাবি আমার সমস্যা তো কোনও সমস্যাই নয়। আর যদি আশা করার কথা বলতেই হয়, তুমি যেভাবে ভালবেসে পরিবারকে আপন করে নাও, তার থেকে সুখের কী থাকতে পারে।
বিরাট আরও জানিয়েছিন, যখন অনুপ্রেরণার প্রসঙ্গ আসে জীবনে, তখনই অনুষ্কার কথা আরও বেশি করে মনে পড়ে। প্রথমে আমার জীবন দর্শন পুরোটাই আলাদা ছিল। কিন্তু যখন কেউ কারও প্রেমে পড়ে, তখনই তার জীবনের সবচেয়ে ভাল জিনিসগুলি প্রভাব ফেলে। আমিও আমার জীবন দর্শনগুলি বদলাতে শুরু করি।
প্রসঙ্গত, ব্যস্ততম জীবনে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি তাঁদের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দিয়েছে। এক বাক্যে জানাচ্ছেন বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা। কোভিড পরিস্থিতিতে ৩ মাস এক সঙ্গে ছিলেন তাঁরা, ব্যস্ত শিডিউল এর আগে কখনও এতদিন তাঁদের এক ছাদের তলায় থাকার সুযোগ করে দেয়নি। কুড়ি সালে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছিলেন বিরাট-অনুষ্কা। অনুষ্কা বলেছিলেন, মাঝে মধ্যে বিরাটের খেলা দেখতে গিয়েছেন তিনি, তখন এক সঙ্গে একবার খাওয়া ছাড়া আর তাঁদের দেখা হত না।
আরও পড়ুন, তাজা নাকি ফ্রিজের সবজি ? কোনটা উপকারী ?
আরও পড়ুন, আম খেলে ওজন বাড়ে কি ? কী দাবি বিশেষজ্ঞদের ?
তিনি আরও বলেছিলেন, ২০১৭-র ডিসেম্বরে বিয়ের পর প্রথম ৬ মাসে ২১ দিন শুধু এক সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি গুণে দেখেছিলেন। ছুটিতে যখনই তিনি বিরাটের কাছে গিয়েছেন বা বিরাট এসেছেন তাঁর কাছে, তখন ছুটি হলেও প্রকৃতপক্ষে কিন্তু সেটা ছুটি হত না। কারণ দুজনের মধ্যে একজনকে কাজ করতেই হত।