কলকাতা: মুক্তির আগেই জোর ধাক্কা।  নতুন সিনেমা 'উদয়পুর ফাইলস' -এর মুক্তি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০২২ সালে, মাথা কেটে হত্যা করা হয়েছিল দর্জি কানাইয়া লালকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটেই তৈরি ছবি 'উদয়পুর ফাইলস' মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আজ, ১১ জুলাই। কিন্তু, ছবির মুক্তি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার এই ছবি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ততক্ষণ এই ছবিকে দর্শকদের দরবারে আনা যাবে না।

কী বলেছে দিল্লি হাইকোর্ট? 

দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি অনিশ দয়ালের বেঞ্চ আবেদনকারীদের নির্দেশ দিয়েছেন, এই ছবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এই ছবিটির মুক্তি নিয়ে আজ ৫ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলে। শুনানির শেষে বিষয়টিকে কেন্দ্রের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন দুই বিচারপতি। ২০২২ সালে ঘটা এই ঘটনাটি যেহেতু বিচারাধীন বিষয়, সেই কারণেই আশঙ্কা রয়েছে যে এই ছবির মুক্তি বিচার ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে। দিল্লি হাইকোর্ট দুই দিনের মধ্যে জমিয়ত উলেমা হিন্দকে কেন্দ্র সরকারের কাছে আপিল করার কথা বলেছে, এবং সেই আপিল দায়ের হওয়ার পরে ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্র সরকারকে ফিল্মের মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।

পাশাপাশি, এই ছবির নির্মাতারা স্বীকার করেছিলেন, ছবিটির টিজার কাউকে না জানিয়েই মুক্তি করা হয়েছিল। কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। টিজার মুক্তির সময় কোনোরকম ক্ল্যারিফিকেশন দেওয়া হয়নি। সিনেমার ট্রেলার মুক্তির সময় Central Board of Film Certification সেটিকে সার্টিফাই করেছিল। এরপরে জুন মাসের ২৬ তারিখে এই ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পায়। তবে এখন এই সিনেমার মুক্তি নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ঠিক কী এই দর্জি কানাইয়া লাল হত্যা মামলা?

২০২২ সালে উদয়পুরের বাসিন্দা এক দর্জির ক্যামেরাকে সামনেই মাথা কেটে হত্যা করা হয়। এই মামলায় মহম্মদ রিয়াজ এবং মহম্মদ গৌসকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হত্যার পরে একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানায় যে, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই দর্জি। তার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড। এই মামলাটি জাতীয় তদন্ত সংস্থা (National Investigation Agency) দ্বারা তদন্ত করা হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারাগুলির অধীনে মামলা রুজু করা হয়। বর্তমানে এই মামলাটি জয়পুরে অবস্থিত বিশেষ এনআইএ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।