নয়াদিল্লি: মুহূর্তে আছে, আর পরের মুহূর্তেই নেই। যমে আর জীবনে চলেছে দড়ি টানাটানি। শেষ হাসি কার, জীবনের না মৃত্যুর? ইরফান খান লড়ছেন। আর সঙ্গে লড়ছে তাঁর পরিবার। স্ত্রী সুতপা সিকদার ইরফানের ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী। বাবা যখন লড়ছেন, তখন দাঁতে দাঁত চিপে ইরফানের পাশে থেকেছে এবং থাকছে তাঁর দুই ছেলে বাবিল ও অয়ন।
১০ বছর আগে, স্ত্রী সুতপার সঙ্গে ইরাফান (ছবি সুতপা সিকদারের ফেসবুক থেকে)
মুম্বইয়ের এক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলিউড তারকা বলেছেন, “এটা ছিল একটা রোলারকোস্টার রাইড, যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনিশ্চিত জীবনের কারণেই সোনালি দিনগুলোকে দাগিয়ে রাখতে পেরেছি। আমরা কেঁদেছি, তবে তার থেকেও বেশি হেসেছি। আমি অসহনীয় উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছি। কোনও মতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।”
গত ২ বছর ধরে সিনেমার পর্দায় না থাকলেও শিরোনামে রয়েছেন ইরফান। কারণটা অবশ্যই তাঁর ক্যান্সার। জীবনের এই ঝড়ঝাপটার অধ্যায়ে পরিবারকে আরও কাছে পেয়েছেন। আর সেটা হয়েছে অনিশ্চয়তার কারণেই। ইরফান নিজে সেকথা সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। সন্তানদের সঙ্গে কাটানো এই সময় ইরফানের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলোর মধ্যে রয়ে যাবে। ছেলেদের বেড়ে ওঠা প্রসঙ্গে রূপোলি পর্দার তারকা নিজেই বলছেন, “টিনেজার হিসেবে এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বড় ছেলে আর টিনেজার নেই। এই সময়ে ওদেরকে বড় হতে দেখলাম।” স্ত্রী সুতপাকে নিয়ে বলতে গিয়ে রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ইরফান। তিনি বলেন, “সুতপাকে নিয়ে আলাদা করে কী বলব? ২৪ ঘণ্টা আমার সঙ্গে থেকেছে। ও আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যদি আমি আরও বাঁচতে পারি একমাত্র ওর জন্যই বাঁচব। ও আছে বলেই আমি বেঁচে আছি। ”