কলকাতা: বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ে না। কিংবা বলা ভাল তিনি বিতর্কেই থাকতে চান। আবারও মহিলাদের নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রে 'রঙ্গিলা'র পরিচালক। সম্প্রতি মুম্বই ছেড়ে গোয়ায় থাকতে শুরু করেছেন রাম গোপাল। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামগোপাল বলেন, মহিলাদের মস্তিষ্ক কম, আবেদন বা যৌনতাতেই তিনি বেশি আগ্রহী।


আলোচনার সূত্রপাত কিছুদিন আগেই। ট্যুইটারে অভিনেত্রী সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তির সঙ্গে কথোপকথনে রামগোপাল সটান বলে দেন, তাঁর আগ্রহ নারী শরীরে, মস্তিষ্কে নয়। সম্প্রতি তাঁকে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, এই বক্তব্যে কি তিনি অনড়? তখন তিনি আবারও বলেন, তাঁর বই, 'গান অ্যান্ড থাই'- তে তিনি একই কথা লিখেছেন। সেই মতে এখনও অনড়।

তিনি আরও বলেন, “মস্তিষ্কের কোনও লিঙ্গ হয় না। মহিলারও মস্তিষ্ক আছে, আবার পুরুষেরও। তাতে আলাদা কিছু নেই। কিন্তু যৌনতা বিষয়টি মহিলাদের ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট ও প্রযোজ্য। মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌনতা একটা বিশেষত্ব এবং যা আমি পছন্দ করি করি।"

এর আগেও নানা বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন রামগোপাল। গত জুলাইয়ে বলিউডের এই বিশিষ্ট পরিচালকের বিরুদ্ধে ওঠে 'অনার কিলিং'-কে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ। এই মর্মে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় তেলঙ্গানার একটি আদালত। গত ২১ জুন 'ফাদার্স ডে'-তে নিজের পরবর্তী ছবির ঘোষণা করেন রামগোপাল। ছবিটি ২০১৮ সালে তেলঙ্গনার মিরালগুড়ায় ঘটে যাওয়া জাতি হত্য়ার একটি সত্যঘটনাকে কেন্দ্র করে। ছবি মুক্তির আগে, আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েন রামগোপাল।

২ বছর আগে, স্ত্রী অম্রূতার বাবা মারুতি রাও ও মামা শ্রবণ কুমারের চক্রান্তে খুন হন তরুণ প্রণয় কুমার। সেই প্রণয়ের বাবা বালস্বামী ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি তুলে নালগোন্ডা আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁদের অভিযোগ, এই ছবির ফলে, তাঁর ছেলের হত্যা-তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।

সম্প্রতি গোয়ায় অফিস ‘ফ্যাক্টরি’ সরিয়ে নিয়ে গেছেন রামগোপাল। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি যে ধরনের কাজের কথা ভাবছি, তার জন্য গোয়া সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। লকডাউনের বেশিরভাগ সময় হায়দরাবাদেই কাটিয়েছিলেন পরিচালক। তারপর মুম্বই আসেন ও অফিস সরিয়ে আনেন গোয়ায়।