মুম্বই:  হলিউডে হার্ভে ওয়েনস্টেইনকে নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, তখন আমাদের ঘরের কাছে বলিউডও যে ব্যতিক্রম নয়, তা ধীরে ধীরে প্রমাণিত হচ্ছে। একে একে বলিউডের বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কাস্টিং কাউচ নিয়ে সরব হচ্ছেন। দিন কয়েক আগেই 'ভিরে দি ওয়েডিং'-এর স্বারা ভাস্কর কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। এবার বিদ্যা বালন।

একটি বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে বিদ্যা বলেন, গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই কাস্টিং কাউচের অস্তিত্ব রয়েছে এবং তিনিও কেরিয়ারের শুরুতে বহু সেক্সিস্ট ব্যবহারের সম্মুখীন হয়েছেন। তখন তাঁর মারাত্মক রাগ উঠত সেই সমস্ত কথা শুনে। তারপরই সিদ্ধার্থ রায় কপূরের ঘরণী বলেন, তাঁর সঙ্গে যদিও সবসময় ভাল আচরণই করেছেন ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা। কারণ তিনি তাঁর ভাবনাচিন্তায় সবসময় স্থির থেকেছেন। কোনও তাড়াহুড়োয় ভেসে যাননি।

শুধু যৌনগন্ধি প্রস্তাব নয়, তাঁকে বলা হয়েছে তাঁর ছবির অভিনেতা অবশেষে সময় দিয়েছে। তিনি যেন ওই সমস্ত তারিখে নিজেকে ফ্রি রাখেন। তারপর অভিনেতারা সবসময়ই বড় ভ্যান পেতেন, তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হত, তিনি কি ছবির চিত্রনাট্য শুনতে চান?

তবে তিনি নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে করেন, কারণ পরিণীতির মতো ছবির হাত ধরে তিনি ছবির জগতে পা রেখেছেন। তবে তারপর তাঁকে বলা হয়েছে, এখানে অভিনেত্রীদের কেরিয়ার খুবই ক্ষণস্থায়ী। সবসময় অল্পবয়সি দেখানোটা খুবই জরুরি। তাই নায়িকাদের সবসময়ই গ্ল্যামারস দেখাতে হয়। কিন্তু বিদ্যা নিজের জন্যে অন্য নিয়ম তৈরি করেছেন। তিনি নিজেকে বলেছেন, বুঝিয়েছেন, মোটেই তাঁকে সবসময় অল্পবয়সি এবং গ্ল্যামারস লাগতে হবে, এমন কোনও মানে নেই।

তাহলে কি বিদ্যা নারীবাদী? এপ্রশ্নের উত্তরে বিদ্যা বলেন, আমি নারীবাদী ঠিকই, তবে পুরুষ-বিদ্বেষ নেই আমার মনোভাবে। তিনি শুধু মনে করেন, একজন পুরুষের মতোই তাঁরও হেসেখেলে, নিঃশ্বাস নিয়ে জীবনকে উপভোগ করে বাঁচার অধিকার রয়েছে। তাই তিনি পরবর্তী ৪০ বছর কাজ করে যেতে চান। কারণ, কাজটা তিনি ভালবাসেন, এরসঙ্গে বয়স, সৌন্দর্য, গ্ল্যামারের কোনও সম্পর্ক নেই।

অভিনেত্রীকে সুরেশ ত্রিবেণীর পরবর্তী ছবি 'তুমহারি সুলুতে' দেখা যাবে মুখ্য চরিত্রে। আগামী ১৭ নভেম্বর পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। এরমধ্যেই এই ছবির ট্রেলর সকলের নজর কেড়েছে।