কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসে ফিরে দেখা এক বিপ্লবীর জীবনকে । পররাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্তর্গত (Ministry of External Affairs (MEA) ভারতীয় মিশন / পোস্ট অ্যাব্রড (Indian Missions / Posts abroad) উদ্যোগে শ্রী অরবিন্দর ১৫০তম জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে (150th birth anniversary of Sri Aurobindo) একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে তুলে ধরা হবে বিপ্লবীর জীবনকে । ১৫ অগাস্ট (15 August) অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসে এই ছবিটি দেখানো হবে ভারতের দূতাবাসগুলিতে (Embassy of India) , প্যারিস (Paris) , সিজিআই (CGI) , বার্মিংহাম (Birmingham) , সুইজারল্যান্ড (Switzerland) , কলম্বিয়া (Colombia & Ecuador) , ইউনেস্কোতে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি দলকে (Permanent Delegation of India to UNESCO) , ও বাহারিনে (Bahrain) ।


মূলত অরবিন্দ ঘোষের জেলের থাকার সময়কালকে তুলে ধরা হবে এই ছবিতে । ১৯০৮ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত (1908-1909) কলকাতার আলিপুর জেলে বন্দি (Alipore Jail, Kolkata) ছিলেন শ্রী অরবিন্দ । সেই সময়কালকেই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে বেঁধেছেন পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সূর্য কুমার (Suraj Kumar) । এই জেলে থাকার সময় থেকেই মনের ভাব পরিবর্তন হয় শ্রী অরবিন্দর । তাঁর আকর্ষণ জন্মায় আত্মাধিক (spiritual) বিষয়ের। ১৯০৮ সালের ৫ মে (5th May 1908) , ব্রিটিশ সরকারের (British Government)-এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ । গোটা ১  বছর জেলে ছিলেন তিনি । তাঁর নামে আলিপুর বোমা মামলায় (Alipore Bomb Case)-এ জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল । অবশেষে ১৯০৯ সালের ৬ মে (6th May 1909) সালে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান ।


আরও পড়ুন: Sabyasachi Chowdhury Exclusive: মেয়ের মৃত্যু, স্ত্রীর অন্য সম্পর্ক, আত্মহত্যা করতে গেলেন সব্যসাচী, তারপর?


এই ছবি সম্পর্কে পরিচালক সূর্য কুমার (Suraj Kumar) বলছেন , 'অবাক করার মতো ব্যাপার এটাই যে, ঋষি অরবিন্দের আত্মাধিক সফরের শুরু হয়েছিল বন্দি হওয়ার মাত্র ২-৩ দিনের মধ্যে । আমার স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি শ্রী অরবিন্দ : দ্য় বিগিনিং অফ স্পিরিচুয়াল জার্নি (Sri Aurobindo: The Beginning of Spiritual Journey), জেলে থাকাকালীন ঋষি অরবিন্দ হয়ে ওঠার সফরকেই তুলে ধরেছে ।


ছবিতে শ্রী অরবিন্দর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত চৌহান (Vikrant Chauhan) । পরিচালক জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকেই এই ছবি তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। চলেছিল আলোচনাও। প্রথম তাঁর আইআইএমসি (IIMC)-র বন্ধু ডঃ ভার্তিকা নন্দ (Dr. Vartika Nanda)-র সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েই নাকি প্রথম এই ছবি তৈরির পরিকল্পনা আসে । জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে বিভিন্ন বই পড়ে শ্রী অরবিন্দ সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করেছিলেন পরিচালক ।