তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: রাত পোহালেই ছবি মুক্তি, আর ফের শুরু, আরও এক 'ফেলুদা'-সফর। 'হত্যাপুরী' (Hatyapuri)-র ফেলুদা এবার সমাধান করবেন 'নয়ন রহস্য' (Noyon Roshosshyo)। নতুন ছবির ঝলক প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গে, ট্রোলিং-কটাক্ষেরও শিকার হয়েছে প্রচুর। 'নয়ন রহস্য'-র ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন পরিচালক-অভিনেতারা। সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য ঠিক কতটা প্রভাব ফেলে খোদ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ওপর? আদৌ কি এড়িয়ে যেতে পারেন তাঁরা? এবিপি লাইভের (ABP Live) কাছে ট্রোলিং ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে নিজের মনের কথা-ভাবনা খুলে বললেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (Indraneil Sengupta)।


'হত্যাপুরী'-তে তিনি প্রথমবার ফেলুদা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন দর্শকদের কাছে। তখনও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন। 'নয়ন রহস্য'-র সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষের মন্তব্যকে কতটা প্রাধান্য দেন ইন্দ্রনীল? পর্দার 'ফেলুদা' বলছেন, 'অন্যান্য আর পাঁচটা মানুষের মতোই আমারও ভাল শুনতে ভাল লাগে। খারাপ শুনলে কষ্ট হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে প্রত্যেকে প্রত্যেকের বক্তব্যটা সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পায়। কিন্তু সেটা অভিনেতা হিসেবে রোজ রোজ পড়াটা অস্বাস্থ্যকর। অন্তত আমি তাই মনে করি। শুধু অভিনেতা কেন, খেলোয়াড়দেরও তো এভাবেই ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়। বিরট কোহলিকে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে বলা হয়। আমি কোনও চিকিৎসককে বলতে পারব না, আপনার ডাক্তারিটা হচ্ছে না। কিন্তু আমায় তিনি বলতে পারেন, 'অভিনয়টা হচ্ছে না।' এই পেশাটাই বড্ড দুর্ভাগ্যজনক। পৃথিবীর যে কেউ এসে যা-তা বলে যেতে পারেন। অন্তত সবাই তাই ভাবে। কেউ মনেই করেন না আমরা যে কাজটা করি সেটাকেও শিখতে হয়েছে আমাদের। ক্যামেরার সামনে বসে কথা বলাটা যে কতটা কঠিন সেটা কেউ বোঝে না। আমি দর্শকদের সঙ্গে তেমন কথোপকথনে বিশ্বাসী নই। লাইভ চ্যাট করি না। ইনস্টাগ্রামে ছবি দিই কেবল। সত্যি কথা বলতে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু দূরেই রাখি নিজেকে। আমার কাজ অভিনয় করা, মানুষ সেটাই দেখবেন, ভাল-মন্দ জানাবেন। মানুষদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলা ঠিত আমার কাজ না। ফলে 'নয়ন রহস্য' নিয়ে দর্শকেরা কী বলছেন আমি দেখিনি। হত্যাপুরীর সময়ে সিনেমাহলে গিয়ে দর্শকদের ভাল প্রতিক্রিয়াই পেয়েছি। খারাপ হলেও সেটা মেনে নিতাম। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিং পড়তে আমি রাজি নই। আমার আশেপাশের সবাইকে বলে রেখেছি, কেউ কিছু পড়লেও যেন আমায় এসে না বলেন।'


আরও পড়ুন: Kaushambi-Adrit Marriage: গোলাপি শাড়িতে আইবুড়োভাত খেলেন কৌশাম্বি, হাত রাঙা হল আদৃতের নামের মেহেন্দিতে