দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বুধবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা ইরফান। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন অভিনেতা। কোলোন সংক্রমণ নিয়ে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয় 'নেমসেক'-এর 'অশোক গঙ্গোপাধ্যায়' ওরফে ইরফানকে।
সুতপা বাঙালি। কলকাতায় এলেই ইরফান বলতেন, 'বাঙালিরা ঘুরে ফিরে আমার জীবনে চলেই আসেন'। সুতপার সঙ্গে ইরফানের পরিচয় ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায়। বন্ধুত্ব ক্রমশ পরিণত হয় প্রেমে। প্রগতি ময়দানের শকুন্তলম থিয়েটারে দু' জনে সিনেমা দেখতে যেতেন। সিনেমা দেখার পর হেঁটে ফিরতেন এনএসডি পর্যন্ত। সুতপা একসময়ে জানিয়েছেন যে, বিয়ে নিয়ে তাঁর কোনও আলাদা উচ্ছ্বাস ছিল না। ইরফানও মনে করতেন না, সম্পর্ককে পরিণতি দিতেই হবে। ১৯৯৫ সালে তাঁরা সাত পাকে বাঁধা পড়েন।
বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি বদলে দেন সুতপা। আর সেই ছবির ক্যাপশনেই তিনি লিখেছেন 'আমি হারিনি! আমি সব দিক দিয়ে লাভ করেছি'। সে ছবিতে ইরফানকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন সুতপা। অনুরাগীদের প্রিয় অভিনেতাকে হারানোর শোক ফের একবার উথলে দিল এই ছবি।
কলেজের প্রেমিকা স্ত্রী হয়ে গেলেই ভাটা পড়েনি ইরফানের প্রেমে। ইরফান যখন অসুস্থ, তাঁকে বাঁচাতে প্রাণপণ লড়াই করেছেন সুতপা। বিদেশে ক্যানসারের চিকিৎসার শেষে দেশে ফেরার পরও ইরফান বলেছিলেন, তিনি সুতপার জন্য বাঁচতে চান। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'সুতপা কে নিয়ে আর নতুন করে কী বলব। ও আমার কাছে ২৪X৭। ওর ভালোবাসা আর সাহচর্য্যই আমায় বাঁচিয়েছে। আমি ওর জন্যই আবার বাঁচতে চাই।'
সুতপাকে ছেড়ে গিয়েছেন ইরফান, কিন্তু সুতপা যে ইরফানকে ছাড়বেন না তা ব্যক্ত করে দিলেন একটি ছবিতেই।