কলকাতা: তাদের একটা সংসার ছিল । চলমান সংসার । সেখানে স্বপ্ন ছিল, ভালোবাসা ছিল । ইশা আর বাইচুং-এর সংসার, আর তাকে ঘিরে রয়েছে কলকাতা চলন্তিকা (Kolkata Chalantika) । পোস্তা ব্রীজের তলায় শ্যুটিং, এক বস্তিবাসীর চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা.. এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নতুন ছবি মুক্তির আগে সেই সফরটা ফিরে দেখলেন অভিনেত্রী ইশা সাহা (Ishaa Saha) । 


ইশাকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্বাদের চরিত্রে দেখেছেন দর্শকেরা । 'টুম্পা' হয়ে ওঠা কতটা চ্যালেঞ্জে ফেলেছিল ইশাকে? অভিনেত্রী বলছেন, 'ঠিক এমন চরিত্রে অভিনয় করিনি বট, কিন্তু ছোট থেকে যাতায়াতের পথে রাস্তায় বহু মানুষ দেখেছি । তখনও আমি খুব একটা কাজ করি না । গড়িয়াহাট উড়ালপুলের নিচে দেখতাম কত মানুষের সংসার । ওঁদের একটা আলাদা জীবন আছে, জগৎ আছে । কোনও কিছুর তোয়াক্কা করেন না ওঁরা । নিজেদের মতো স্বাধীন.. সরল । আমি মেথর্ড অ্যাক্টিংয়ে বিশ্বাস করি না । পাভেলকে বার বার প্রশ্ন করতাম চরিত্রটা নিয়ে । আর চিত্রনাট্যটা পড়েছি । এই চরিত্রের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল মেকআপ আর লুকটা । সেটা নিয়ে আমার একটু চিন্তা ছিল । কিন্তু যখন সম্পূর্ণ মেকআপ করে ফ্লোরে এলাম.. খুব সাবলীলভাবেই অভিনয়টা এল ।'


আরও পড়ুন: Kaushik Ganguly Exclusive: 'এত অভিনেতাকে পরিচালনা করছি, ছেলেকে কখনও অ্যাকশন-কাট বলতে পারব না?'


গোটা শ্যুটিংয়ের মধ্যে মনে দাগ কাটার মতো কোনও ঘটনা মনে পড়ে ? ইশা বলছেন, 'যেদিন আমরা সত্যিই সত্যিই পোস্তা উড়ালপুলের তলায় শ্যুটিং করছিলাম, ওই দিনটা ভোলার নয় । আমরা প্রত্যেকে টিভির পর্দায় যে দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলাম, সেই দৃশ্যকে পুননির্মাণ করা সহজ ছিল না । মনে হচ্ছিল, ঘটনাটা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি । শিউরে উঠেছি । নিজের আবেগ, অনুভূতিকে সামলে শট দিতে সেদিন সত্যিই অসুবিধা হয়েছিল ।'


সৌরভের সঙ্গে এর আগে দুটো কাজ করে ফেলেছেন ইশা । সেই সমীকরণই কি প্রাণ দিল বাইচুং আর টুম্পার রসায়নে ? ইশা বলছেন, 'সহ অভিনেতা ভালো হলে অভিনয় অনেক সহজ হয়ে যায় । সংলাপের ধরা আর ছাড়ার মধ্যেও যে অভিনয়টা থাকে সেটাতেও ফুটে ওঠে সমীকরণটা ।'


আর পাভেলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ? হাসতে হাসতে ইশার উত্তর, 'পাভেলদাকে তো এখন সরাসরিই বলি, ও পাগল । তবে ওর পাগলামিটা কাজের জন্য, ভালোর জন্য । ও পাগলামিটা গোটা ফ্লোরে ছড়িয়ে দেয় যাতে কাজটা আরও ভালো হয় ।'