কলকাতা: ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তিনি ছিলেন দ্য রাইট গাই অ্যাট রং টাইম। এমনটাই মনে করেন ঋষি কপূর। তাঁর কথায়, যখন তিনি সিনেমায় আসেন, সেটা অ্যাকশ ফিল্মের যুগ। যখন অবসর নেন, তখন আবার রোমান্টিক ছবির যুগ শুরু হয়েছে। আদ্যন্ত রোমান্টিক নায়ক হয়েও অ্যাকশন জমানায় টানা টিকে থাকার কৃতিত্ব একেবারেই তাঁর বলে মনে করেন রাজ কপূরের ছেলে।


৭০-এর ফরমুলা ছবি থেকে একুশ শতকের অন্য ধারার ছবি- ৬৪ বছরের ঋষির ঝুলিতে সবরকম অভিজ্ঞতা রয়েছে। নিজের জীবনী ‘খুল্লাম খুল্লা: ঋষি কপূর আনসেন্সর্ড’-এ সই করতে করতে ঋষি জানিয়েছেন, ৭০-এর দশকে, যখন তাঁর সিনেমা জগতে পা রাখা, তখন হল কাঁপাতেন অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খান্নার মত অ্যাকশনধর্মী ছবির নায়করা। তাঁকে দেওয়া হয়েছিল রোম্যান্টিক হিরোর তকমা।

সব ছবিই তখন হত ধনীর ছেলের সঙ্গে গরিবের মেয়ের প্রেম বা উল্টোটা নিয়ে। প্রত্যেক অভিনেতাকেই এমন অন্তত গোটাচারেক ছবি করতে হত। কিন্তু তখনকার দর্শক সব কিছু হাসি মুখে মেনে নিতেন, এখনকার মত প্রশ্ন করতে শেখেননি তাঁরা।

ঋষির মতে, ছেলে রণবীর ভাগ্যবান, নানা ধরনের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। ‘রকস্টার’-এ তিনি নাকি চিনতেই পারেননি ছেলেকে। এ ধরনের অফ দ্য ট্র্যাক ছবি তাঁদের জমানায় হত না বলে আক্ষেপ রয়েছে তাঁর।

তবে ঋষি মনে করেন, ‘দুসরা আদমি’, ‘এক চাদর মইলি সি’ ও ‘মেরা নাম জোকার’-এর মত ৭০ দশকের ছবি সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। তাঁর মতে, খারাপ ছবি তৈরি করা হয়। আর ভাল ছবি সৃষ্টি হয় সব যুগে।