মুম্বই: ২০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলায় (Rs 200 Crore Extortion Case) ফের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez)। দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট এদিন বলিউড অভিনেত্রীর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekhar) ২০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলায় আগামী আরও ৪দিন অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বেড়েছে জ্যাকলিনের।
১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ল জ্যাকলিনের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ-
এদিন সংবাদসংস্থা এএনআই তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে জানিয়েছে যে, '২০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলা (Rs 200 Crore Extortion Case) । ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়াল দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট।'
আরও পড়ুন - Hera Pheri 3: ফের অক্ষয় কুমারের জুতোয় পা গলাচ্ছেন কার্তিক আরিয়ান?
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিল্লির পাটিয়ালা আদালতে জামিনের আবেদনের শুনানিতে সশরীরে হাজির ছিলেন জ্যাকলিন। সেখানে সরাসরি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। তদন্তকারীদের আইনজীবী জানান, টাকার অভাব নেই জ্যাকলিনের। সহজেই দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন তিনি। তাই কোনও মতেই তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত নয়। এর পাল্টা তদন্তকারীদের কাছে আদালত জানতে চায়, এখনও পর্যন্ত জ্যাকলিনকে গ্রেফতার করা হল না কেন? আদালত বলে, "লুক আউট সার্কুলার জারি করার পরও কেন এখনও পর্যন্ত জ্যাকলিনকে গ্রেফতার করা হল না? অন্য অভিযুক্তরা জেলে রয়েছেন। এমন পক্ষপাতিত্ব কেন?" জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের জামিনের বিরোধিতা করে এ দিন আদালতে ইডি জানায়, তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করেননি জ্যাকলিন। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জামিন পেলে পালিয়ে যেতে পারেন। ইডির বক্তব্য, "জীবনে একসঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকা দেখিনি আমরা। কিন্তু ফূর্তি করেই ৭ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা উড়িয়েছেন জ্যাকলিন। যথেষ্ট পরিমাণ টাকা রয়েছে ওঁর। পালানোর কম চেষ্টা করেননি।"
এর আগে, জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করে ইডি, যাতে দেশের কোনও বিমানবন্দর থেকেই বাইরে যেতে না পারেন তিনি। জালিয়াতি এবং প্রতারণায় অভিযুক্ত জেলবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আর্থিক তছরুপ এবং তোলাবাজি মামলায় নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনের। সুকেশের কাছ থেকে জ্যাকলিন বহুমূল্য উপহার পেয়েছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।