কলকাতা: বিনোদনের মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া, উপার্জনেরও। শুধু অন্যান্য দেশে বা রাজ্যে নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব বিষয়বস্তু নির্মাতার (content creator) সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতেই তাঁরা জনপ্রিয়, তারকাও বটে। বাংলা ভাষায় ভর করেই কমেডি, সমসাময়িক বিষয়বস্তু বা নাচ-গানের ছোট ছোট ভিডিও বানিয়েই মন জিতে নিয়েছেন নেটিজেনদের। এবার এই সমস্ত প্রতিভাদের নতুন মঞ্চ দিতেই 'যোশ'-এর সঙ্গে হাত মেলাল এসভিএফ। নতুন এই প্ল্যাটফর্মে নিজেদের কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন নির্মাতারা। এর ফলে যেমন তাঁদের ফলোয়ার্সদের সংখ্যা বাড়বে, তেমনই নতুন প্রতিভারা পাবে মঞ্চ।


নিউটাউনের রেস্তোরাঁ সেজে উঠেছিল রঙিন থিমে। নাচ, গানের আয়োজনে জমজমাট ছিল অনুষ্ঠান। হাজির ছিলেন 'জোশ'-এর প্রধান নির্মাতা সুন্দর ভেঙ্কটরমন, প্রধান কর্মাধ্যক্ষ সমীর বোহরা ও এসভিএফ ও 'হইচই' তরফে ছিলেন বিষ্ণু মোহতা। এছাড়াও চাঁদের হাট বসেছিল সোমবার সন্ধেতে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাংলা জনপ্রিয় নেট তারকারা। এছাড়াও হাজির হয়েছিলেন ধারাবাহিক ও টলিউডের বেশ কিছু পরিচিত মুখ। এদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রিয়ঙ্কা সরকার, মধুমিতা সরকার, সৌরভ দাশ, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ্তা সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, সুমনা দাস, জিনা তরফদার, প্রিয়ঙ্কা ভট্টাচার্য্য, অলিভিয়া ও অন্যান্য তারকারা। এঁরা প্রত্যেকেই অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব ভিডিও বানানোর জন্য পরিচিত মুখ।


এসভিএফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিষ্ণু মোহতা বলেন, 'পূর্বভারত নেটদুনিয়ায় নতুন কনটেন্ট বানাতে নির্মাতাদের উদ্বুদ্ধ করবে 'যোশ' ও এসিভিফের এই মেলবন্ধন। আঞ্চলিক ভাষায় এই মঞ্চ আসার ফলে আরও নতুন প্রতিভারা উঠে আসবে বলেই আমার বিশ্বাস। সেইসঙ্গে 'যোশ' অ্যাপের সহজ ভিডিও বানানোর পদ্ধতিও নির্মাতাদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।'


অন্যদিকে সুন্দর ভেঙ্কটরমন বলেন, 'পূর্বভাবতের প্রথম শ্রেণীর প্রযোজক সংস্থা এসভিএফ। তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে আসতে পেরে আমরা খুশি। এসভিএফের মিউজিক লাইব্রেরী নির্মাতাদের নতুন ভিডিও বানাতে উদ্বুদ্ধ করবে। 'জোশ' সবসময় আঞ্চলিক নির্মাতাদের জন্য সুযোগ করে দিতে চেয়েছে। এই উদ্দেশ্যেই এসভিএফের সঙ্গে এই মেলবন্ধন।'