কলকাতা: সকালবেলাই তাঁর ঘুম ভাঙল ফোনে। তিনি নাকি মারা গিয়েছেন! সকাল সকাল কার্যত এইরকম ফোন পেয়ে আঁৎকে উঠেছিলেন তিনি। কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তারপরে বিভিন্ন খবর পড়ে পরিষ্কার হল সবটা। প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Joy Banerjee)।  আর নামের সাদৃশ্য থাকাতেই, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অনুরাগীরা, বর্ষীয়ান প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে! 

এবিপি লাইভের ফোন ধরে অভিনেতা গলায় স্বভাবচিত মজা মিশিয়ে বললেন, 'আজকে আমার বাবার জন্মদিন। সেইদিন যদি বাবা আমার মৃত্যুর খবরটা পেতেন, তাহলে কি হত বলুন তো! সকাল থেকেই মেসেজের পর মেসেজ। সেইসব প্রথমটা খেয়াল করিনি। তারপরে আসতে শুরু করল ফোন। একবার ভাবুন, আমি মারা গেছি কি না, সেটা মানুষ আমাকেই ফোন করে জানতে চাইছেন! তারপরে আবার আমি ফোন ধরলেই ভূত দেখার মতো আঁৎকে উঠছেন। 'একি... তোর কিছু হয়নি....' আমি তো প্রথম প্রথম ব্যাপারটা বুঝতেই পারিনি। কয়েকটা ফোন ধরেও ফেলি। সবাই বলতে থাকেন, কী সব খবর রটেছে দেখ... তারপরে বিভিন্ন খবর পড়ার পরে পরিষ্কার হয় সবটা। 

জয়জিতের দাবি, নামের সাদৃশ্য থাকাতেই নাকি এই বিপত্তি। অনেকেই মনে করেছেন জয়জিৎ-কে জয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাদৃশ্য রয়েছে পদবীতেও। ফলে খবর রটে গিয়েছে, তিনি নাকি মারা গিয়েছেন। তবে এই বিপত্তি মোটেই গায়ে মাখতে রাজি নন জয়জিৎ। তাঁর মতে, এতে নাকি মানুষের আয়ু বাড়ে। তবে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন জয়জিৎ। তাঁর মতে, এই বিষয়টা একেবারেই মজার নয়। প্রয়াত অভিনেতা একজন গুণী মানুষ ছিলেন। সেই কারণে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে একটি পোস্ট ও করেছেন জয়জিৎ। 

গত ১৫ অগাস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ১৯৬৩ তে জন্ম। বাংলা ছবিতে অভিষেক ১৯৮২ সালে। চুমকি চৌধুরী এবং জয়ের জুটি এখনও সিনেপ্রেমীদের কাছে আলোচিত। সুখেন দাস, অঞ্জন চৌধুরীর একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজনীতিবিদ, অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় জয়ের। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সংসার ছিল প্রয়াত অভিনেতার।